তিন রুশ কূটনীতিককে মলদোভা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ক্রেমলিনপন্থি মলদোভার এক আইনপ্রণেতাকে কারাভোগ করা থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।

মলদোভার এই পদক্ষেপের পর পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো।

মলদোভার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার রাশিয়ার দূতাবাসের ওই তিন কর্মীকে বরখাস্ত করেছে। বার্তা আদান–প্রদাণের অ্যাপ টেলিগ্রামে নিজেদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে শুরুতেই বলেছে, ‘কূটনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ডের স্পষ্ট প্রমাণ থাকার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

মলদোভার এই পদক্ষেপের দ্রুত জবাব দিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তির খবর অনুযায়ী, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা পাল্টা পদক্ষেপ নেবে।

সোমবার মলদোভার একটি অভিযোগের জেরে প্রতিবেশী রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির নতুন করে এই কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে। মলদোভার অভিযোগ, সে দেশের রুশ দূতাবাস মলদোভার একজন আইনপ্রণেতাকে রাশিয়া-সমর্থিত দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল ট্রান্সনিস্ত্রিয়ায় পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।

দুর্নীতির অভিযোগে দোষীসাব্যস্ত হওয়ার পর ওই আইনপ্রণেতাকে কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন৪৫ রুশ কূটনীতিক-দূতাবাসকর্মীকে বহিষ্কার করল মলদোভা২৭ জুলাই ২০২৩

ওই আইনপ্রণেতার নাম আলেকজান্ডার নেস্তেরোভস্কি। মলদোভার গোয়েন্দা সংস্থা একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ১৮ মার্চ নেস্তেরোভস্কি মলদোভায় রাশিয়ার দূতাবাসে প্রবেশ করছেন। তার পরদিন একটি আদালত নেস্তেরোভস্কিকে ১২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়। নেস্তেরোভস্কি তাঁর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক টন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েল যেসব শর্ত না মানলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

ইসরায়েল কিছু শর্ত না মানলে আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার নিজ মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় এ কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। শর্তগুলোর একটি হলো—গাজায় ‘ভয়াবহ পরিস্থিতির’ অবসানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে ইসরায়েল সরকারকে। যুক্তরাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছেন স্টারমার। ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতির অবসানে পদক্ষেপ না নিলে, যুদ্ধবিরতিতে না গেলে, পশ্চিম তীরে দখলদারি থামানোর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি না দিলে এবং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তিপ্রক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি না দিলে এ স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তিনি (স্টারমার) আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কোনো তুলনা চলে না। হামাসের প্রতি আমাদের দাবিগুলোয় কোনো পরিবর্তন আসেনি। হামাসকে অবশ্যই সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে, এটা মেনে নিতে হবে যে গাজার প্রশাসনে তাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করতে হবে।’

গ্রীষ্মকালীন ছুটির মধ্যেই মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। এই বৈঠকেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বৈঠকে তিনি ইউরোপের অন্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন একটি শান্তি পরিকল্পনা এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে স্টারমারের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। দিন কয়েক আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে তাঁর উদ্দেশে চিঠি লেখেন যুক্তরাজ্যের ২২১ জন আইনপ্রণেতা। তাঁদের মধ্যে স্টারমারের দল লেবার পার্টির আইনপ্রণেতারাও ছিলেন।

সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন তিনি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ১৩৯টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আরও পড়ুনফ্রান্স কেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, আসল কারণ কী১৬ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে ২২১ আইনপ্রণেতার চিঠি২৬ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েল যেসব শর্ত না মানলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য