গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও গণহত্যার মুখে প্রতিনিয়ত বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। উপত্যকাটির ৯০ শতাংশ মানুষ নিজের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। একবার-দু’বার নয়, অনেক পরিবার চার-পাঁচবারও বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে। ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ক্লান্তিকে সঙ্গী করে কোনো ধরনের চিকিৎসা ছাড়াই গাজার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুলে চলেছেন বাসিন্দারা।

দেড় বছর ধরে দখলদার দেশটির তীব্র আগ্রাসনে সহায়-সম্বল ও পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তারা। সর্বশেষ রাফা ও গাজা সিটিতে বাস্তুচ্যুতি আদেশের ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আবারও পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের। 

গাজা সিটির আগে থেকেই বাস্তুচ্যুত এক বয়স্ক ব্যক্তি আবু হাজেম খালেফ আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে বড় সংগ্রাম হলো বাস্তুচ্যুতি। এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলাব, তা আমাদের জানা নেই। আমি গাজা শহরের পশ্চিমে যাচ্ছি, এমন কোনো রাস্তা খুঁজছি, যেখানে আমি তাঁবু স্থাপন করতে পারি।’ 

আরেক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মাহমুদ আল-ঘারাবলি যোগ করেন, আমাদের জোর করে চলে যেতে হচ্ছে এবং আমরা কোথায় যাব, তাও জানি না। আমরা ক্লান্ত এবং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছি। 

ইসরায়েলি বাহিনী আবারও একের পর এক এলাকাকে নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করেছে। জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) তথ্য অনুসারে, ইসরায়েল এখন গাজার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে। বিশাল এলাকাকে নিষিদ্ধ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা কিংবা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আদেশ জারি করে তারা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে। বিধিনিষেধযুক্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ রাফার একটি বিশাল অংশ। সেখানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত সোমবার একটি নতুন বাস্তুচ্যুতি আদেশ জারি করে ঘোষণা দেয়, তারা প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে লড়াই করতে ফিরে আসছে। 

বিধিনিষেধগুলো গাজা সিটির কিছু অংশকেও অন্তর্ভুক্ত করে। সেখানে দেশটির সেনারা শুক্রবার সকালে ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ সম্প্রসারণের জন্য স্থল আক্রমণ শুরু করেছে। এই ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি যুদ্ধের সবচেয়ে বড় গণবাস্তুচ্যুতিগুলোর মধ্যে একটিকে সূচিত করেছে। ফলে আগে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হওয়া লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আবারও পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। 

হামাসকে কোণঠাসা করতে আক্রমণাত্মক অভিযান তীব্র করার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমরা এখন এই উপত্যকা ভাগ করছি এবং ধাপে ধাপে চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছি। ফলে তারা যেন জিম্মিদের আমাদের হাতে তুলে দেয়। 

স্থানীয় চিকিৎসা সূত্র এবং গাজার নাগরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মতে, শুক্রবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। আগের দিন তীব্র বোমাবর্ষণের পর এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওইদিন অন্তত ১১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু।

বৃহস্পতিবার তুহফা এলাকায় তিনটি স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৮ শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হন। এসব হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু দার আল-আরকাম স্কুলে হামলায় ১৮ শিশুসহ ২৯ জন নিহত হন। স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। ওই স্কুলটিতে কমপক্ষে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। 

উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৫০ হাজার ৫২৩ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হলো। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি। উপত্যকায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও কয়েক হাজার মানুষের মৃতদেহ পড়ে আছে বলেও ধারণা করা হয়। 

দক্ষিণ লেবাননে হামাসের শীর্ষস্থানীয় এক নেতাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ। শুক্রবার তারা জানায়, সিদন অঞ্চলে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডার হাসান ফারহাতকে হত্যা করা হয়েছে। আইডিএফের দাবি, গাজায় যুদ্ধ চলাকালীন ইসরায়েলের বেসামরিক ও সামরিক ব্যক্তিদের ওপর একাধিক হামলা চালানোয় জড়িত ছিলেন ফারহাত। তাঁর আদেশে গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরাঞ্চলীয় সাফেদ কমান্ড বেইজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিচালিত হয়। ওই হামলায় স্টাফ সার্জেন্ট ওমের সারাহ বেনজো নিহত এবং একাধিক সেনা আহত হন।

এদিকে গাজা উপত্যকায় চলমান দ্বিতীয় দফা সামরিক অভিযানে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের যথাযথ তদন্ত চেয়েছেন দেশটির ১৩ জন আইনজীবী। শিগগির এ ইস্যুতে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল গ্যালি বাহারাভ-মিয়ারা এবং সামরিক বাহিনীর আইনজীবী ইফাত তোমের-ইয়ারুশালমি বরাবর চিঠিও দিয়েছেন তারা। ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ এ তথ্য জানিয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল র আম দ র হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মার্জিন ঋণ নিতে বিনিয়োগ লাগবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ নিতে হলে বিনিয়োগ থাকতে হবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা। এছাড়া থাকতে হবে নিয়মিত আয়ের উৎস। আর বিনিয়োগের ৬ মাসের আগে ঋণ পাবে না কোনো বিনিয়োগকারী। একইসঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড এবং কোম্পানির হিসাবেও মার্জিন ঋণ দেওয়া হবে না। চূড়ান্ত মার্জিন ঋণ নীতিমালায় এসব সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্জিন রুলস- ১৯৯৯ যুগোপযোগী করার চূড়ান্ত সুপারিশ প্রসঙ্গে এসব তথ্য তুলে ধরেন পুঁজিবাজার টাস্কফোর্সের সদস্যরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন এবং পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপের সদস্য প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও মো. মনিরুজ্জামান।

টাস্কফোর্সের সদস্যরা বলেন, পুঁজিবাজার অংশীজনদের সাথে আলোচনা করেই সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে টাস্কফোর্স। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর ৩ মাসের আগে মার্জিন ঋণ না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে, মার্জিন নিয়ে শেয়ারবাজারে কারসাজি বন্ধ হবে। মার্জিন ঋণ নিয়ে সুশাসন না থাকায় বিপুল অংকের নেগেটিভ ইক্যুইটি সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে বিনিয়োগকারীর পাশপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পুঁজিবাজার। মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং মার্জিন খারাপ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করা হয়েছে। যে কারণে অনেক বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা টাস্কফোর্সের মূল্য উদ্দেশ্য।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, অনেক স্টেকহোল্ডার দাবি করছেন তাদের সাথে বসা হয়নি। অথচ আমরা দেখলাম তাদের সাথে আমরা ৩ বারও বসে ফেলেছি। তবে কেন এরকম মিস কমিউনিকেশন। আমরা অংশীজনদের বাহিরেও যারা বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ তাদের সাথেও আমরা বসেছি। এরপরেও যদি মনে হয় আমরা কিছু বাদ দিয়েছি বা গ্যাপ ছিল, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে জানালে তা আমরা যুক্ত করে দিব। তবে অংশীজনদের থেকে বেশি আমরা সাধারণ মানুষদের থেকে অনেক কিছু পেয়েছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, প্রতিদিন পত্র-পত্রিকায় লেখা হচ্ছে নেগেটিভ ইক্যুইটি নিয়ে। যার কারণ বাজার অচল অবস্থায় চলে গেছে। সে অবস্থাটাকে মাথায় রেখে আমরা চিন্তা করেছি, এর অন্যতম কারণ হলো মার্জিন রুলস। কারণ মার্জিন রুলসটা যদি প্ল্যান করে দেওয়া হতো, গভর্নেন্সটা যদি সঠিক থাকতো, তাহলে এ ধরনের অবস্থা তৈরি নাও হতে পারতো। তাই মার্জিন রুলসকে আমরা টপ প্রায়োরিটি আইটেম ধরেছি। পৃথিবীতে মার্জিন রুলসকে শর্টটার্ম ওয়ে হিসেবে নেওয়া হয়। কোথাও কোথাও ১:৩/৪ রেশিওতে মার্জিন ঋণ দেওয়া হচ্ছে৷ এগুলা কিভাবে হয়েছে? এরপর বাজারে নেগেটিভ ইক্যুইটি ক্রিয়েট হয়েছে। আমরা চাচ্ছি এই জিনিসগুলোর যেন পুনরাবৃত্তি বাজারে না হয়। মার্জিন নিয়ে আর গ্যামব্লিং করা যাবেনা। মার্জিন নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেষ করে দেয়া হয়েছে। এতো পরিমাণ নেগেটিভ ইক্যুইটি না থাকলে বাজারের আজ এই পরিস্থিতি হতো না।

হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন বলেন, আমাদের কাজে সহযোগিতা করেছে ফোকাস গ্রুপ। মূল কাজ করেছে টাস্কফোর্স। আমরা কাজ করতে যেয়ে পাবলিকের কাছ থেকে অনেক পরামর্শ পেয়েছি। স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকেও পেয়েছি, তবে পাবলিক থেকে পরামর্শ বেশি এসেছে। এটা খুব ভালো বিষয়। কারণ যত বেশি পরামর্শ আসবে, আমরা তত বেশি রিফাইন করার সুযোগ পাব।

সংবাদ সম্মেলনে একটি উপস্থাপনায় পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপের সদস্য প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আজকে আমার খুবই ভালো লাগছে যে, এই প্রথম বাংলাদেশে আইনি ফরমেশন করতে যাচ্ছি, যেখানে ব্রেইন স্টর্মিং ড্রাফটিং হয়েছে গ্রাউন্ড লেভেল থেকে। এ মার্কেটে যারা কাজ করেন, তাদের আইডিয়াগুলো নিয়েই ড্রাফট করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বিএসইসির ওয়ার্কিং টিমের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। এছাড়া মার্কেটের বড় বড় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব নিয়ে মার্জিন রুলস- ১৯৯৯ যুগোপযোগী করার চূড়ান্ত সুপারিশ তৈরি করেছি।

এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত আদেশে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়। গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আকবর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।

ঢাকা/এনটি/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদনের সময় বৃদ্ধি, আইএলটিএসে ৬.৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন
  • সুদানের এল-ফাশারে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ৪১ বেসামরিক
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে চান?
  • মার্জিন ঋণ নিতে বিনিয়োগ লাগবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা
  • পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ, ৩ দিনে নিহত ৭১
  • পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ, নিহত ৭১