পত্রিকার এজেন্ট ও বিক্রেতারা পেলেন উপহার
Published: 7th, April 2025 GMT
সাভারে পত্রিকার এজেন্ট ও বিতরণকারীদের ঈদ উপহার তুলে দেন সুহৃদরা। ২৫ মার্চ বিকেলে পৌর এলাকার গেন্ডার সীমা জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে আয়োজিত ইফতার শেষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পত্রিকার হকারদের হাতে ঈদসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। সুহৃদ সমাবেশের সাভার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ও এ্যাবাক স্কুলের অধ্যক্ষ হাসনাইন জিসান বলেন, অসংকোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস নিয়ে এগিয়ে চলা দৈনিক সমকাল ২০ বছর অতিক্রম করছে। বর্তমান সময়ে এটি বাংলাদেশের একটি মানসম্মত পত্রিকা। সমকালের পাঠক সংগঠন সুহৃদ সমাবেশ দেশজুড়ে মানুষের জন্য ভালো কাজ করে আসছে। পাঠকের হাতে সমকাল পত্রিকা বেশি বেশি তুলে দেওয়ার জন্য পত্রিকার এজেন্ট ও হকারদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি। মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক হাজী মোহাম্মদ দানেশ ঢালী, আলমগীর হোসেন, সুহৃদ সমন্বয়ক ও সমকাল সাভারের স্টাফ রিপোর্টার গোবিন্দ আচার্য্য, হকার সমিতির এজেন্ট বাদশা মিয়া, কামাল হোসেনসহ সাভারের সুহৃদরা। মতবিনিময় সভা শেষে পত্রিকার হকারদের হাতে ঈদসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। ইতিবাচক আলোচনা ও উপহারসামগ্রী পেয়ে উপস্থিত এজেন্ট ও বিতরণকারীরা আনন্দ প্রকাশ করেন। সংক্ষিপ্ত সভায় নবগঠিত কমিটির সদস্যদের কর্মপরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন। v
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, সাভার
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সামাজিক নিরাপত্তা ও বৃত্তির অর্থ যাবে পছন্দের হিসাবে
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্য কার্যক্রমের নগদ অর্থ উপকারভোগীরা নিজেদের পছন্দের ব্যাংক বা এমএফএস হিসাবে নিতে পারবেন। বিতরণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ভাতা বিতরণে কোনো ব্যাংক বা মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে দিতে পারবে না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সম্প্রতি সরকারের এ সিদ্ধান্ত পরিপত্র আকারে জারি করেছে। সরকারের নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে উপকারভোগীরা তাদের পছন্দমতো হিসাবে সরকারি ভাতার টাকা নিতে পারবেন। এ ছাড়া এমএফএস এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জ শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্যাশ আউট চার্জ সরকার পরিশোধ করবে। আগামী ১ জুলাই থেকে সরকারি ভাতা বিতরণের নতুন এ নিয়ম কার্যকর হবে। জানা গেছে, বর্তমানে চার্জ রয়েছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা সমকালকে জানান, সরকার থেকে ব্যক্তি (জি-টু-পি) পদ্ধতিতে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার পাশাপাশি শিক্ষা উপবৃত্তি এবং অন্যান্য নগদ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। আগামী অর্থবছর থেকে উপকারভোগীরা এ ধরনের অর্থ তাদের পছন্দের অ্যাকাউন্টে নিতে পারবেন। ভাতাভোগীদের নতুন করে কোনো হিসাব খুলতে হবে না।
২০২১ সালে এমএফএস প্রতিষ্ঠান নগদকে ৭৫ শতাংশ ভাতা বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নগদ দায়িত্ব পায় ৪০টি জেলার। বাকি ২৪টি জেলায় অন্যান্য এমএফএস ও ব্যাংকের মাধ্যমে ভাতা দেওয়া হয়।
অর্থ বিভাগের পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভাতা বিতরণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থা এখন থেকে তাদের পছন্দমতো কোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে না। ফলে সারাদেশের যে কোনো জায়গার ভাতাভোগীরা তাদের নিজেদের পছন্দের হিসাবে ভাতার টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ ক্যাশ আউট চার্জসহ একসঙ্গে পাঠাতে হবে। নগদ বিতরণের ক্ষেত্রে এমএফএস বা ব্যাংক উপকারভোগীর ওপর কোনো ধরনের চার্জ আরোপ করতে পারবে না। ইফটি রিটার্নের ক্ষেত্রে ক্যাশ আউট চার্জসহ সরকারকে ফেরত দিতে হবে। ইএফটির রিয়েল টাইম ট্র্যাকিংয়ের জন্য অর্থ বিভাগের সিঙ্গেল রেজিস্ট্রি সিস্টেমে প্রতিটি এমএফএস এবং ব্যাংক সংযোগ স্থাপন আগামী ২৯ মে’র মধ্যে শেষ করতে হবে।