বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নিজেদের পণ্য বা সেবার প্রচারণায় নিয়মিত স্প্যাম বার্তা পাঠিয়ে থাকেন। এসব স্প্যাম বার্তার কারণে মাঝেমধ্যেই বিব্রতকর সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। শুধু তা-ই নয়, অনেক সময় স্প্যাম বার্তায় ক্ষতিকর লিংক থাকে, যেগুলোয় ক্লিক করলে যন্ত্রে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে তথ্য চুরি করতে থাকে। তাই এবার স্মার্টফোনে স্প্যাম বার্তা আসা ঠেকাতে নিজেদের মেসেজেস অ্যাপে ‘আনসাবস্ক্রাইব’ বাটন যুক্ত করেছে গুগল।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে গুগল মেসেজেস অ্যাপের নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীরা অন্যদের পাঠানো বার্তার নিচে ‘আনসাবস্ক্রাইব টু স্টপ রিসিভিং মেসেজেস’ নামের নতুন অপশন দেখতে পাচ্ছেন। এই অপশনে ট্যাপ করলে বার্তা বন্ধ করতে চাওয়ার কারণ জানাতে চাওয়া হচ্ছে। ‘নট সাইনড আপ’, ‘টু মেনি মেসেজেস’ও ‘নো লঙ্গার ইন্টারেস্টেড’ অপশন থেকে যেকোনো একটি নির্বাচন করলে বার্তা পাঠানো নম্বর থেকে পরবর্তী সময়ে বার্তা পাঠানো যাবে না। তবে ‘স্প্যাম’ নির্বাচন করলে শুধু বার্তা আসা বন্ধ নয়, প্রেরকের ফোন নম্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগও করা যাবে। আনসাবস্ক্রাইব প্রক্রিয়া শেষ হলে ‘স্টপ’ বার্তার নিচে ‘আনসাবস্ক্রাইব রিকোয়েস্ট সেন্ড’ লেখা দেখ যাবে।

আরও পড়ুনগুগলের মেসেজেস অ্যাপ থেকে ভিডিও কলও করা যাবে, কীভাবে১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গুগল মেসেজেস অ্যাপের আনসাবস্ক্রাইব বাটনটি প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, মেক্সিকো ও স্পেনের ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে স্মার্টফোনে ব্যবসায়িক প্রচারণার তথ্যসহ অবাঞ্ছিত বার্তা আসা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: টেক রাডার

আরও পড়ুনগুগল মেসেজেস অ্যাপে জেমিনি চ্যাটবটের মাধ্যমে বার্তা লিখবেন যেভাবে০২ অক্টোবর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘নতুন কৌশলে’ তেল আবিব ও হাইফায় ইরানের হামলা, নিহত ৫

ইসরায়েলের তেল আবিব ও বন্দরনগরী হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চালিয়েছে ইরান। সোমবার ভোররাতে তেল আবিবের আকাশে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের দৃশ্য দেখা যায় এবং জেরুজালেমেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। হামলায় ৫ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

ইসরায়েলের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি লক্ষ্য করে চালানো আগাম হামলার পাল্টা জবাব হিসেবেই তেহরান এই আঘাত হানে।

জাতীয় জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, সর্বশেষ ইরানি হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ইরানি হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। হামলায় আরও অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছে।

হাইফায় ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান চলছে। জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, সেখানে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। বন্দরের কাছে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

তেল আবিবের একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এই এলাকার মাত্র কয়েকশ মিটার দূরেই মার্কিন দূতাবাসের একটি শাখা অবস্থিত। দূতাবাস ভবনে কিছু ক্ষতি হলেও কেউ আহত হয়নি বলে জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

এদিকে ইরানের বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় তারা এমন একটি ‘নতুন কৌশল’ ব্যবহার করেছে। এর ফলে ইসরায়েলের বহুস্তরবিশিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছে।

আইআরজিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযানে ব্যবহৃত উদ্যোগ ও সক্ষমতাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তির সর্বোচ্চ সমর্থন এবং আধুনিকতম প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সত্ত্বেও, ইসরায়েলের অধিকৃত ভূখণ্ডের লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই হামলা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি । তবে তারা বারবার বলে আসছে, তাদের ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শতভাগ সুরক্ষিত নয় এবং সামনে আরও কঠিন সময় আসছে।

ইরানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ২২৪ জন। নিহতদের ৯০ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার সকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা আবারও ইরানের বিপ্লবী গার্ড ও সামরিক বাহিনীর কমান্ড সেন্টারগুলোতে হামলা চালিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ