বিসিএসের সময়সূচি পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই পিএসসির
Published: 10th, April 2025 GMT
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী ৮ মে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা হবে। সময়সূচি পরিবর্তনের পরিকল্পনা আপাতত নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনকারী প্রার্থীদের দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছে পিএসসি। তবে, বর্তমানে কমিশন ৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭তম বিসিএসসহ নন-ক্যাডার নিয়োগের বিভিন্ন জট নিরসনে একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মধ্যে কাজ করছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সময়মতো পরীক্ষা নেওয়াই এ পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য।
পিএসসি জানায়, বিসিএসসহ বড় বড় পরীক্ষার আয়োজন বড় চ্যালেঞ্জ—বিশেষ করে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ছাপানো এবং পর্যাপ্ত পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ। কমিশনের নিজস্ব অবকাঠামো না থাকায় এসব কার্যক্রমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে হয়। পরীক্ষার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম, পাবলিক পরীক্ষা ও ছুটির বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, যা সময়সূচি পরিবর্তনকে আরো জটিল করে তোলে।
তবে, পিএসসি জানিয়েছে, যদি কোনো প্রার্থীর ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা একই দিনে পড়ে, সে ক্ষেত্রে মৌখিক পরীক্ষার জন্য বিকল্প তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে পিএসসিকে যথাযথভাবে অবহিত করতে হবে।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স এস র ত পর ক ষ প এসস
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।