ঈদ উপলক্ষে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বরাবরই বর্ণাঢ্য আয়োজন করে থাকে। এই আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ—নাটক, টেলিফিল্ম। তবে নতুন মিডিয়া হিসেবে ইউটিউব চ্যানেল নিজস্ব একটি জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। ঈদ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও ইউটিউবের জন্য ভিন্ন ধারার নাটক নির্মাণ করে থাকে।
প্রত্যেক ঈদে কিছু নাটক দর্শকের মনে বিশেষভাবে দাগ কেটে যায়। নাটকের গল্প, নির্মাণ শৈলী ও অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত নাটকগুলোর মধ্যে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে রয়েছে ‘মেঘবালিকা’ নাটকটি।
জাকারিয়া সৌখিন নির্মিত ‘মেঘবালিকা’ নাটকে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজনীন নীহা। নাটকটি দেখে ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। ৬ দিনে নাটকটির ভিউ দাঁড়িয়েছে ৭৬ লাখের বেশি।
আরো পড়ুন:
ভিউয়ের দৌড়ে ‘বড় ছেলে’ অপূর্বকে ছাড়িয়ে নিলয়
বিয়ে করলেন জামিল-মুনমুন
ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ‘মেঘবালিকা’। দর্শক সাড়া পেয়ে কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নের জবাবে নীহা বলেন, “খুব ভালো লাগছে। ঈদে এত এত ভালো নাটক এসেছে। সেগুলোর মধ্যে আমাদের নাটকটিও দর্শক পছন্দ করেছেন, ট্রেন্ডিংয়ে ১ নাম্বারে রয়েছে— এটা তো দারুণ ব্যাপার। এর আগেও আমাদের ‘মন দুয়ারী’ নাটকটি দর্শক খুব পছন্দ করেছিলেন। এ কারণে চিন্তা এবং এক্সাইটমেন্ট দুটিই ছিল— দর্শক আগের মতো গ্রহণ করেন কি না। এখন এত এত ভালোবাসা দেখে ভালো লাগছে, সামনে আরো ভালো কাজের উৎসাহ পাচ্ছি।”
অপূর্বর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নীহা বলেন, “প্রথম যেদিন গল্প নিয়ে বসেছিলাম, খুব ভয় পাচ্ছিলাম। অপূর্ব ভাইয়া আমার বরাবরই পছন্দের অভিনেতা, একজন লিজেন্ডারি অ্যাক্টর। তাই ভয় ছিল, প্রথম প্রতিক্রিয়া কেমন হয়! তবে ভাইয়া আন্তরিকভাবে বিষয়টা সহজ করে দিয়েছিলেন।”
শুটিং সেটেও অপূর্বর ব্যবহার ছিল অমায়িক। তা জানিয়ে নীহা বলেন, “প্রথম যেদিন শুটিংয়ে গিয়েছিলাম, সেদিনও ভয়ে ভয়ে ছিলাম। তার মতো একজন অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করা চাট্টিখানি কথা নয়। তবে সেখানেও ভাইয়া অনেক সহযোগিতা করেছেন, মনেই হয়নি তার সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। তার কাছ থেকে আসলে অনেক কিছু শিখেছি। সবার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, বিনয়ের সঙ্গে কীভাবে একটা বিষয় সামলাতে হয়— সব মিলিয়ে চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়েছে।”
পরিচালনার পাশাপাশি ‘মেঘবালিকা’ নাটক রচনাও করেছেন জাকারিয়া সৌখিন। নাটকটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন— সুমু চৌধুরী, সমাপ্তি মাসুক, মিলি বাশার প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক কর ছ ন প রথম ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
দেশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে এক করোনা রোগীরও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭৮ জন। অন্যদিকে এ সময়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তিনজনের শরীরে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি হাসপাতালে একজনের ও চট্টগ্রাম বিভাগে অন্যজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের একজন তরুণ, অন্যজন মধ্যবয়সী নারী। করোনায় মৃত্যু হয়েছে খুলনা বিভাগে, তিনি পুরুষ, বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে।
দেশে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৯৮০ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ৮৩ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।