ফরিদপুরে সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মিক্সচার প্লান্টে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন দুই শ্রমিক। এ সময় তীব্র ধোঁয়ার কুণ্ডলী সৃষ্টি হয়, যা প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের এলাকা থেকে দেখা যায়। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে শহরের ব্রাহ্মণকান্দা এলাকায় ঢাকা-বরিশাল বাইপাস সড়কসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে মিক্সচার প্লান্টের দুই শ্রমিক দগ্ধ হন। তাঁরা হলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাইলাডাঙ্গা গ্রামের আল আমিন মোল্লা (৩৫) ও একই উপজেলার বকুলনগর গ্রামের মো.

মোকসেদ আলী (৪০)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা প্লান্টটি জাহিদুর রহমান নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন। প্লান্টে বিস্ফোরণের সময় পাশে থাকা তিন থেকে চারটি দোকান পুড়ে গেছে। পরে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নির্ধারণ করা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সড়কের কাজের জন্য ওই এলাকায় মিক্সচার প্লান্ট স্থাপন করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্লান্টে পাথর, পিচ ও গ্রিন অয়েল মিক্সিং করে এই মিশ্রণ সড়কের সংস্কারকাজে ব্যবহার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের ফরিদপুর স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, ওই প্লান্টের রোলিং বা মিক্সচার মেশিনের একটি মোটর থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় আগুনে ধোঁয়ার তীব্রতা বেড়ে যায়। কারণ, গ্রিন অয়েলে দাহ্য বা তীব্রতা বেশি হয়ে থাকে। ওই সময় সামনে থাকা কয়েকটি দোকানের গ্যাস সিলিন্ডারও বিস্ফোরিত হয়। খবর পেয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনো জানা যায়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো ইরান

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। রবিবার মধ্যরাতে ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর পর, সোমবার (১৬ জুন) ভোর হতে না হতেই দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেহরান।সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলে ইরানের এটি দশম আক্রমণ।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, সোমবার ভোরে ইরান নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরপরই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হোম ফ্রন্ট কমান্ড সাধারণ ইসরায়েলিদের বোমা শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছে।

তেহরান টাইমস জানিয়েছে, রবিবার রাতে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় সরাসরি আঘাত হানে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কঠোর সেন্সরশিপ সত্ত্বেও, অনলাইনে প্রচারিত ফুটেজে হাইফায় একটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র আগুনে পুড়ে গেছে বলে দেখা গেছে। অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। তেল আবিবের একাধিক স্থানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইসরায়েলের হামলা

ইসরায়েলের নতুন হামলায় ইরানের আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান নিহত

রবিবার রাতে ইরান ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমি এবং কিরিয়াত গাটের কৌশলগত স্থানগুলোর পাশাপাশি হাইফার অন্যান্য অঞ্চলগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। এতে ইসরায়েলের সামরিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান।

আগের দিনগুলোতে, ইরান ইসরায়েলের বৃহত্তম তেল শোধনাগার এবং ১৫০টিরও বেশি সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনায় হামলা চালানোর দাবি করেছে।

শুক্রবার ভোরে তেহরানের আবাসিক ভবন ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা চালানোর পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।

তেহরান জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জন ইরানি সামরিক কর্মকর্তা, ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং ২২০ জনেরও বেশি ইরানি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

ইরান ইসরায়েলকে ‘অসহায়’ না করা পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ