নাইটহুড পাচ্ছেন জিমি অ্যান্ডারসন
Published: 11th, April 2025 GMT
ক্রিকেটে অবদানের জন্য নাইটহুড উপাধি পাচ্ছেন ইংল্যান্ডের জিমি অ্যান্ডারসন। গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো এই বোলার টেস্ট ইতিহাসে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক। তবে জাতীয় দলকে বিদায় বললেও এখনো ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ৪২ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন ল্যাঙ্কারশায়ারে খেলেন।
যুক্তরাজ্যের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীরা বিভিন্ন অঙ্গনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নাইট প্রস্তাব করে যেতে পারেন, যা রাজা অনুমোদন করেন। গত নভেম্বরে পদত্যাগ করা ঋষি সুনাকের তালিকায় আছেন অ্যান্ডারসন।
২০০২ সালের ডিসেম্বরে অ্যান্ডারসন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পা রাখেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে। তবে ইংল্যান্ড তাঁকে সবচেয়ে বেশি মনে রাখবে টেস্টের জন্য। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে অবসর নেওয়ার আগে ১৮৮টি টেস্ট, ১৯৪ ওয়ানডে ও ১৯ টি-টোয়েন্টি খেলেন অ্যান্ডারসন। এর মধ্যে টেস্টে নিয়েছেন ৭০৪ উইকেট, যা টেস্টে কোনো পেসারের সর্বোচ্চ। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের সময় তাঁকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছিল ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
ঋষি সুনাকের ‘রেজিগনেশন অনার্স লিস্ট’-এ একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে অ্যান্ডারসনের নাম আছে। ক্রিকেটারদের মধ্যে এর আগে নাইটহুড পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অ্যান্ড্রু স্ট্রস, অ্যালিস্টার কুক, জিওফ বয়কট, ইয়ান বোথামসহ অনেকেই। অস্ট্রেলিয়ার ডন ব্র্যাডম্যান, নিউজিল্যান্ডের রিচার্ড হ্যাডলি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডসরাও ভূষিত হয়েছিলেন নাইটে। এই উপাধি পাওয়ার ব্যক্তির নামের আগে ‘স্যার’ যুক্ত হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য ন ড রসন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়