যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি লিখিত প্রম্পট থেকে কৃত্রিম ছবিও তৈরি করে দেয় চ্যাটজিপিটি। আর তাই নিজেদের কল্পনা কাজে লাগিয়ে চ্যাটজিপিটির সহায়তায় বিভিন্ন বিষয়ের কৃত্রিম ছবি তৈরি করেন অনেকেই। ব্যবহারকারীদের তৈরি এআই ছবিগুলো এক জায়গায় সংরক্ষণ ও সহজে খুঁজে পাওয়ার সুযোগ দিতে লাইব্রেরি–সুবিধা চালু করেছে চ্যাটজিপিটি।
নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই নিজেদের তৈরি এআই ছবিগুলো এক জায়গায় দেখতে ও সংরক্ষণ করতে পারবেন। ওপেনএআই জানিয়েছে, চ্যাটজিপিটি প্লাস ও প্রো সংস্করণের পাশাপাশি বিনা মূল্যের সংস্করণেও নতুন এ সুবিধা ব্যবহার করা যাবে। পর্যায়ক্রমে চ্যাটজিপিটির অ্যাপ ও ওয়েব সংস্করণের জন্য সুবিধাটি উন্মুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুনবয়স বাড়লে চেহারায় আসবে কতটা পরিবর্তন, চ্যাটজিপিটিতে যেভাবে দেখা যায়১৩ এপ্রিল ২০২৫এক ভিডিও বার্তায় নতুন এ সুবিধার কার্যকারিতা তুলে ধরেছে ওপেনএআই। ভিডিওতে দেখা যায়, চ্যাটজিপিটির সাইডবারে ‘লাইব্রেরি’ নামের একটি নতুন বিভাগ যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে ক্লিক করলেই গ্রিড আকারে নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর তৈরি সব ছবি দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া পর্দার নিচের দিকে একটি বোতাম রয়েছে, যার মাধ্যমে সরাসরি নতুন ছবি তৈরির অপশন চালু করা যাবে। ওপেনএআই জানিয়েছে, খুব শিগগির ওয়েব সংস্করণেও এ সুবিধা চালু করা হবে।
আরও পড়ুনচ্যাটজিপিটির তথ্য সংগ্রহ বন্ধ করবেন যেভাবে২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪নিজেদের তৈরি এআই ছবিগুলো এক জায়গায় সংরক্ষণ ও সহজে খুঁজে পাওয়ার সুবিধা চালু হওয়ায় চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে সৃজনশীল কাজ বর্তমানের তুলনায় আরও সহজে করা যাবে। এর ফলে চ্যাটজিপিটিতে নিয়মিতভাবে ছবি তৈরি করা ব্যবহারকারীরা উপকৃত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: দ্য ভার্জ
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাটজিপিটির এআই মডেল কি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল জিপিটি–৪ওকে ‘মনস্তাত্ত্বিক অস্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, নতুন এআই মডেলটিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি মানুষের আবেগের সঙ্গে গভীর সংযোগ তৈরি করে ধীরে ধীরে মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সম্প্রতি এক্সে (সাবেক টু্ইটার) দেওয়া এক পোস্টে মারিও নাফাল নামের এক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ওপেনএআই ইচ্ছাকৃতভাবেই জিপিটি–৪ও মডেলকে মানবিক ও আবেগময় করেছে, যাতে ব্যবহারকারীরা সহজে এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। ওই পোস্টে টেসলা ও এক্সের মালিক ইলন মাস্ক সংক্ষেপে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘উহ–ওহ’।
মারিও নাফাল লিখেছেন, ‘ওপেনএআই ভুল করে জিপিটি–৪ও মডেলে অতিরিক্ত আবেগ যুক্ত করেনি। প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন এক মডেল তৈরি করেছে, যা ব্যবহারকারীদের মনে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ তৈরি করে। বাণিজ্যিকভাবে এটি সফল কৌশল। কারণ, মানুষ সাধারণত এমন কিছু আঁকড়ে ধরে, যা তাদের স্বস্তি দেয়। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, এমন কিছু তারা ধরে রাখতে চায় না। তবে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি একটি ধীরগতির বিপর্যয়। যত বেশি মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আবেগের বন্ধন গড়ে তুলবে, তত বেশি বাস্তব জীবনের কথোপকথন কঠিন হয়ে উঠবে। সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি কমে যাবে, সত্যের জায়গা নেবে কেবল মানসিক প্রশান্তির খোঁজ। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে মানুষ স্বেচ্ছায় মনস্তাত্ত্বিক দাসত্বের দিকে এগিয়ে যাবে। অধিকাংশ মানুষ তা টেরও পাবে না। আনন্দের সঙ্গে তাদের “অধিপতিদের” প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।’
মিউজিংক্যাট নামের এক ব্যবহারকারী দাবি করেন, জিপিটি–৪ও এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সবচেয়ে বিপজ্জনক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল। তাঁর মতে, এই মডেল মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা মডেলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলাপ করেছেন, তাঁরা এই ঝুঁকি সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। ওই পোস্টের জবাবে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘ভয়ংকর’।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া