কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি: এটিআই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা
Published: 21st, April 2025 GMT
দেশের এটিআই (কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট) শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন এ তথ্য জানান ।
তিনি বলেন, “এটিআইয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা। পরে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা”।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি-দাওয়া পূরণে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এর আগে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমাদের কাজ পড়াশোনা করা। তোমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের ওপর ছাড়, আমরা দেখব। তোমাদের দাবি পূরণে সরকার আন্তরিক।”
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা তাদের আট দফা দাবির মধ্যে বিধিসম্মত উপায়ে বাস্তবায়নযোগ্য দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকারের আশ্বাসের ওপর আস্থা রেখে চলমান আন্দোলন বন্ধ করে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, শিক্ষক নিয়োগ, পরীক্ষা, চাকরি গ্রেড, ইন্টার্ন ভাতা, ফাউন্ডেশন ট্রেনিং, উচ্চ শিক্ষায় প্রবেশগম্যতাসহ বিবিধ বিষয়ের দাবি সরকার আন্তরিকভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এটিআইগুলোতে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা সরকারকে জানানোর জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং প্রাপ্ত সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় দ্রুত সময়ে কাজ করবে বলে শিক্ষার্থীদের জানানো হয়।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. জাকির হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল ইসলাম এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে আবু নাঈম সিদ্দিক, আসাদুজ্জামান কবির, মুসা প্রধান, মুনতাসির রহমান ও রায়ন উদ্দিম শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের এটিআইগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের ৮ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কাজ চলছে।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক