বিএসসি (স্নাতক) কৃষিবিদদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে দাবি করে এবং এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

এ সময় কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত বার্তায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ডিপ্লোমা কৃষির শিক্ষার্থীরা তাদের কিছু দাবির পক্ষে আন্দোলন, অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের এ দাবিগুলোর মধ্যে দুই-একটি যৌক্তিক হলেও অধিকাংশই অযৌক্তিক এবং বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফলে কৃষি শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং পেশাদারিত্বের কাঠামো বিঘ্নিত হবে বলে মনে করছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিএসসি কৃষির শিক্ষার্থীরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাই।

বার্তায় আরো বলা হয়েছে, আমরা আমাদের ছয় দফা যৌক্তিক দাবি আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে চাই। যা কৃষি খাতের উন্নয়ন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডিপ্লোমা কৃষি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, তোমরা শিক্ষার মানোন্নয়ন চাও, শিক্ষক সংকট নিরসন চাও, মাঠ সংযুক্তি ভাতা চাও, ফাউন্ডেশন ট্রেনিং চাও। কিন্তু তোমরা বিএসসি পদমর্যাদা চাও, কৃষিবিদ টাইটেল চাও, সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে আসন সংরক্ষণ চাও, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে শুধু নিজেরাই থাকতে চাও এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটভুক্ত হতে চাও; এগুলো অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। এসব দাবিকে বিএসসি কৃষিবিদরা কখনোই সমর্থন করবে না।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- দশম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/সমমান) চাকরিতে বিএসসি ও ডিপ্লোমা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে; বিসিএস পরীক্ষা ছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পদে যোগদান করা যাবে না এবং দশম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে পদোন্নতি বন্ধ করতে হবে; বিএডিসিসহ অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমাধারীদের নবম গ্রেডে পদোন্নতি বন্ধ করতে হবে।

অন্য দাবিগুলো হলো- প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম ছাড়া পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রাখা যাবে না; কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ব্যতীত নামের পূর্বে ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহার করা যাবে না এবং এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে; কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের (কৃষি সম্প্রসারণ অধিফতর) অধীনেই রাখতে হবে।

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ব এসস

এছাড়াও পড়ুন:

চামড়াশিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের পুরোনো চক্র ও সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন। এই সিন্ডিকেট ও চামড়াশিল্প ধ্বংসের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত ‘চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট রুখো’ শীর্ষক মানববন্ধনে এসব কথা বলা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মির্জা শরিফুল আলম। সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, কলামিস্ট মীর আবদুল আলীম, রাজনীতিবিদ নুরুজ্জামান হীরা, মানবাধিকারকর্মী আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।
কয়েক বছর ধরে কাঁচাচামড়ার দাম কমছে। দাম না পেয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া নদী বা খালে ফেলে দিয়েছেন কিংবা মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন– এমন ঘটনাও ঘটছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি বছর ৮৫ থেকে ৯০ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ট্যানারি মালিকদের। এর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ হয় কোরবানির সময়। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে। কোরবানিদাতাদের থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন। সেসব চামড়া আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া সংগ্রহ করলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম পড়ে গেছে তলানিতে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও বেশির ভাগ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে। বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। দেশে ও বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। অথচ কোরবানির চামড়া শিল্প নিয়ে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বিদেশি চক্রান্তে দেশের সোনালি আঁশখ্যাত পাট শিল্পকে সুকৌশলে ধ্বংস করা হয়েছে। এবার আরেক সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। গত বছরের মতো এবারও কম দামে সব ধরনের চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। এতে করে গরিব-অসহায় মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
  • রূপগঞ্জে মামুন হত্যা : মাহবুবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে মানববন্ধন
  • সাইক্লিস্ট হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন
  • ‘চট্টগ্রামে সাইক্লিস্ট ওসমানের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, হত্যা’
  •  সোনারগাঁয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি কোম্পানিকা সেতু রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
  • রাজশাহীতে বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
  • সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি দুদিন পর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে
  • কাছারিবাড়িতে হামলা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে, রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত  নিদর্শন নষ্ট হয়নি: সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়
  • চামড়াশিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে