কৃষিবিদদের প্রতি বৈষম্য নিরসনের দাবি গোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
Published: 22nd, April 2025 GMT
বিএসসি (স্নাতক) কৃষিবিদদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে দাবি করে এবং এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত বার্তায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ডিপ্লোমা কৃষির শিক্ষার্থীরা তাদের কিছু দাবির পক্ষে আন্দোলন, অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের এ দাবিগুলোর মধ্যে দুই-একটি যৌক্তিক হলেও অধিকাংশই অযৌক্তিক এবং বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফলে কৃষি শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং পেশাদারিত্বের কাঠামো বিঘ্নিত হবে বলে মনে করছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিএসসি কৃষির শিক্ষার্থীরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাই।
বার্তায় আরো বলা হয়েছে, আমরা আমাদের ছয় দফা যৌক্তিক দাবি আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে চাই। যা কৃষি খাতের উন্নয়ন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডিপ্লোমা কৃষি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, তোমরা শিক্ষার মানোন্নয়ন চাও, শিক্ষক সংকট নিরসন চাও, মাঠ সংযুক্তি ভাতা চাও, ফাউন্ডেশন ট্রেনিং চাও। কিন্তু তোমরা বিএসসি পদমর্যাদা চাও, কৃষিবিদ টাইটেল চাও, সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে আসন সংরক্ষণ চাও, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে শুধু নিজেরাই থাকতে চাও এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটভুক্ত হতে চাও; এগুলো অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। এসব দাবিকে বিএসসি কৃষিবিদরা কখনোই সমর্থন করবে না।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- দশম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/সমমান) চাকরিতে বিএসসি ও ডিপ্লোমা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে; বিসিএস পরীক্ষা ছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পদে যোগদান করা যাবে না এবং দশম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে পদোন্নতি বন্ধ করতে হবে; বিএডিসিসহ অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমাধারীদের নবম গ্রেডে পদোন্নতি বন্ধ করতে হবে।
অন্য দাবিগুলো হলো- প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম ছাড়া পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রাখা যাবে না; কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ব্যতীত নামের পূর্বে ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহার করা যাবে না এবং এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে; কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের (কৃষি সম্প্রসারণ অধিফতর) অধীনেই রাখতে হবে।
ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ব এসস
এছাড়াও পড়ুন:
১ কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেনর এক কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে বন্দরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের শিক্ষক-শিক্ষকারা।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১টায় বন্দর উপজেলা কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বন্দর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবারে স্মারকলিপি দাখিল করা হয়।
মানববন্ধরে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের প্রধান এ এইচ এম শামীম আহমেদ, মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম রুবেল, শিক্ষক হাসান কবির, আনোয়ার হোসেন, আরিফ হোসেন, মাহবুব আলম, শামীমা আক্তার বর্ণা, রোকসানা আক্তার প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে ৬৫ হাজার ৭শ’ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। যা দেশেরন ৫০ শতাংশ শিক্ষার চাহিদা পূরণ করে থাকে। আর এ সকল স্কুলে প্রায় ১ কোটির অধিক শিশু শিক্ষার্থী লেখা পড়া করে। আর ৫ম শ্রেণীতে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সরকারি বৃত্তিতে অংশ নিয়েছে।
কিন্তু গত ১৭ জুলাই বর্তমান সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বৃত্তিতে অংশ গ্রহণ বাতিল করে। যার কারণে ১ কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে পতিত হয়েছে।
বক্তরা আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ১৭ অনুচ্ছেদে দেশের সকল শিশুদের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিশুদের বুত্তিতে অংশগ্রহণ করতে না দেয় মানে সংবিধানের ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমরা এ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। যাতে শিশুরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।