পিএসসি সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ, শাহবাগ ‘ব্লকেড’
Published: 26th, April 2025 GMT
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থী। বিক্ষোভ শেষে রাত ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড় ‘ব্লকেড’ করেন তাঁরা। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক।
নুরুল হক বলেন, শুধু পিএসসি না, সরকারি বিভিন্ন নিয়োগে যে অস্বচ্ছতা রয়েছে, সেটাকে স্বচ্ছ করা দরকার। ডিসি অফিস, এসপি অফিস, ইউএনও অফিসের প্রশাসন একেবারে ভালো হয়ে যায়নি। আগের মতো এখনো সেই দলবাজি মনোভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি অভিযোগ করেন, পিএসসিতে বিদ্যমান আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে একটা বিসিএসের নিয়োগ হতেই তিন-চার বছর লেগে যায়। এক বছরের মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করার দাবি জানান তিনি।
এরপর রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে দিয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে যায়। সেখান থেকে সূর্য সেন হলের সামনে দিয়ে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল হয়ে ভিসি চত্বরে যায়। পরে সেখান থেকে রাজু ভাস্কর্য হয়ে শাহবাগে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘শাহবাগ ব্লকেড থেকে আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, আগামীকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যদি আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা আজকে অল্প সময়ের জন্য শাহবাগ ব্লক করেছি। যদি আমাদের যৌক্তিক দাবি মনে নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা শুধু শাহবাগ নয়, পুরো বাংলাদেশ ব্লক করে দেব।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র স মন শ হব গ প এসস
এছাড়াও পড়ুন:
মামদানির উত্থান থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন ইউরোপের বামপন্থীরা
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির উত্থান ইউরোপের বামপন্থী রাজনীতিকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে আগামী বছর স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউরোপের নেতারা চোখ রাখছেন মামদানির ওপর।
মামদানির নির্বাচনী প্রচার দেখতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দলীয় কৌশলবিদেরা আগেই আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্কে এসেছেন। তাঁদের লক্ষ্য, মামদানিকে কাছ থেকে দেখে তাঁর রাজনীতির কৌশল শেখা। কারণ, মামদানি একেবারে সাধারণ অবস্থান থেকে উঠে এসে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহরের নেতৃত্বের দৌড়ে শীর্ষে পৌঁছেছেন। ইউরোপের রাজনীতিকেরা শিখতে চান, মামদানির তৃণমূলভিত্তিক প্রচারণা নিউইয়র্কে যেমন সফল হয়েছে, সেটি তাঁদের অঞ্চলেও কার্যকর হবে কি না।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বামপন্থীদের জোট দ্য লেফট গ্রুপের ফরাসি সহসভাপতি মানোঁ ওব্রি গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে মামদানির প্রচারে অংশ নেন। ওব্রি ও তাঁর দল ফ্রান্স আনবাউড মামদানিকে পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। তাঁরা মামদানির মডেল অনুসরণ করে ফ্রান্সজুড়ে ২০২৬ সালের পৌরসভা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে চান।
জার্মানির পুঁজিবাদবিরোধী দল দ্য লেফট নিউইয়র্কে চার কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছে। তাঁরা মামদানির প্রচারকৌশলের প্রধান মরিস ক্যাটজসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দলটির সংসদীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক লিজা ফ্লাউম বলেন, মামদানির মতো কৌশল অনুসরণ করে অতীতে তাঁদের দল ভালো করেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়টি তাঁদের কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল। এর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে দরজায় দরজায় গিয়ে প্রচারের কৌশল নিয়েছিল তাঁদের দল। ফ্লাউম আশা করেন, বার্লিনে আগামী সেপ্টেম্বরের আইনসভা নির্বাচনে দ্য লেফট মামদানির বর্তমান প্রচারণাকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করবে।
এদিকে মেয়র নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকা মামদানি বিদেশে তাঁর প্রচারকৌশল নিয়ে মাতামাতির বিষয়টিকে এখন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে মামদানি বলেন, আপাতত তাঁর মনোযোগ পুরোপুরি স্থানীয় রাজনীতিতে।
ফ্রান্স ও জার্মানির মতোই যুক্তরাজ্যের রাজনীতিকেরা মামদানির প্রচারকৌশল দেখে মুগ্ধ। মামদানির ছোট ছোট ভিডিওতে ব্যক্তিত্ব ও আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রার খরচের বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আবার তাঁকে একই সঙ্গে আপনজন হিসেবেও উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুননিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি৭ ঘণ্টা আগেফ্রান্স আনবাউডের সংসদ সদস্য দানিয়েল ওবোনো বলেন, ‘মামদানির দলীয় নির্বাচনে জয়টাই একটা বড় রাজনৈতিক ঘটনা। শুধু তিনি কী নিয়ে লড়েছেন, তা–ই নয়, বরং কীভাবে লড়েছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর যোগাযোগের কৌশল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারসহ অনেক কিছুই আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
যুক্তরাজ্যের গ্রিন পার্টির নেতা মোথিন আলি বলেন, বামপন্থীদের এখন শেখা দরকার, কীভাবে মামদানির মতো করে সংক্ষিপ্ত অথচ প্রভাবশালী বার্তা পৌঁছে দিতে হয়। যুক্তরাজ্যের সাবেক লেবার নেতা এবং বর্তমানে ইয়োর পার্টির নেতৃত্বে থাকা জেরেমি করবিনও এক এক্স পোস্টে মামদানির প্রচারে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুননিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন৯ ঘণ্টা আগে