ইয়েমেনে আবারো বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হুতি-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী সানায় মার্কিন হামলায় নারী ও শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সানার উত্তরাঞ্চলের বানি আল-হারিথ জেলার থাকবান এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত আটজন নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উদ্ধার অভিযান চলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের খুঁজে বের করার জন্য দলগুলো কাজ করছে।

হুতি মিডিয়া আউটলেটটি আরো জানিয়েছে, রোববার রাতভর দেশটির আমরান ও সা’দা প্রদেশেও বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরো পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প

ক্রিমিয়া ছাড়তে নারাজ ইউক্রেন, জেলেনস্কির কড়া সমালোচনায় ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী গত ১৫ মার্চ থেকে হুতিদের ওপর বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে হুতিদের আক্রমণ বন্ধ করার লক্ষ্যে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে এই অভিযান বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ১৫ মার্চ ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে টানা বিমান ও নৌ হামলা শুরু করার পর থেকে তারা ৮০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে সাম্প্রতিক অভিযানের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড বলেছে, তারা ‘শত শত হুতি যোদ্ধা এবং অসংখ্য হুতি নেতাকে হত্যা করেছে’।

মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা যে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তার মধ্যে অস্ত্রের মজুদ এবং উৎপাদন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে তারা বলেছে, চলমান অভিযান সম্পর্কে ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ’ করা হবে না।

এদিকে হুতি গোষ্ঠী বলেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা লোহিত সাগরের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে এবং তাদের বাহিনী হামলার জবাব দেবে।

এক দশকের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে ইরান সমর্থিত হুতিরা। উত্তর ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলই এখন তাদের দখলে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে এর প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে তারা ১০০ এর বেশি হামলা চালিয়েছে।

এরপর হুতিদের থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে হামলা শুরু হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। তাই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে আবারো হুতিদের ওপর হামলা জোরদার করার নির্দেশ দেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র লক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর

গাজীপুর নগরের কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে আংশিক প্রস্তুত ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে প্রতিবছরের মতো এবারও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য তৈরি করা হচ্ছিল বিভিন্ন প্রতিমা। প্রতিমাগুলো তখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি, রংও করা হয়নি। গতকাল দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে কারিগর ও মন্দিরসংলগ্ন লোকজন কাজ বন্ধ রেখে চলে যান। পরে সন্ধ্যায় মন্দিরে এসে তাঁরা দেখতে পান, পাঁচ থেকে ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, পূজা শুরু হয়নি বলে এখনো পাহারার ব্যবস্থা করা হয়নি। মন্দিরের আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে, তা তারা জানে না। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিমাগুলো আবার মেরামত করা হবে।

অগ্রগামী যুব সংঘ সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি প্রবীর দত্ত বলেন, ‘গতকাল পূজা মন্ডপের কাজ শেষে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। বিকেল বেলা কে বা কারা পূজামন্ডপে ঢুকে ৫-৬ টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে; অন্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্নের মধ্যে আছি।’

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, চুরি করতে এসে দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। প্রতিমাগুলোর কাজ এখনো শেষ হয়নি। সেগুলো মেরামতের কথা জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ