ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত ৮
Published: 28th, April 2025 GMT
ইয়েমেনে আবারো বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হুতি-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী সানায় মার্কিন হামলায় নারী ও শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সানার উত্তরাঞ্চলের বানি আল-হারিথ জেলার থাকবান এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত আটজন নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উদ্ধার অভিযান চলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের খুঁজে বের করার জন্য দলগুলো কাজ করছে।
হুতি মিডিয়া আউটলেটটি আরো জানিয়েছে, রোববার রাতভর দেশটির আমরান ও সা’দা প্রদেশেও বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরো পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
ক্রিমিয়া ছাড়তে নারাজ ইউক্রেন, জেলেনস্কির কড়া সমালোচনায় ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী গত ১৫ মার্চ থেকে হুতিদের ওপর বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে হুতিদের আক্রমণ বন্ধ করার লক্ষ্যে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে এই অভিযান বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ১৫ মার্চ ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে টানা বিমান ও নৌ হামলা শুরু করার পর থেকে তারা ৮০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে সাম্প্রতিক অভিযানের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড বলেছে, তারা ‘শত শত হুতি যোদ্ধা এবং অসংখ্য হুতি নেতাকে হত্যা করেছে’।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা যে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তার মধ্যে অস্ত্রের মজুদ এবং উৎপাদন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে তারা বলেছে, চলমান অভিযান সম্পর্কে ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ’ করা হবে না।
এদিকে হুতি গোষ্ঠী বলেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা লোহিত সাগরের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে এবং তাদের বাহিনী হামলার জবাব দেবে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে ইরান সমর্থিত হুতিরা। উত্তর ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলই এখন তাদের দখলে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে এর প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে তারা ১০০ এর বেশি হামলা চালিয়েছে।
এরপর হুতিদের থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে হামলা শুরু হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। তাই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে আবারো হুতিদের ওপর হামলা জোরদার করার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র লক ষ য
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক