মে দিবসে শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ’র শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
Published: 1st, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া সমবায় মার্কেট এর সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ'র উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রমিক জননেতা জাহাঙ্গীর আলম গোলক, আইন সহায়তা তথ্য রিপোর্টার মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম আরজু, শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক -জেসমিন আক্তার, বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রাস্টের নারায়ণগঞ্জ জেলা'র সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী- এস.
এ সময় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আব্দুস সবুর।
সমাবেশে শ্রমিক জননেতা জাহাঙ্গীর আলম গোলক বলেন, মহান মে দিবস আজ অথচ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও এখনো বাংলাদেশে শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি । নারায়ণগঞ্জ শহরের মতো সারা দেশে বাড়ছে শিশু শ্রম । বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে নারী শিশু ও শ্রমিকের জীবন মান ।
হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । শত শত ছোট কারখানা, গার্মেন্টস্, ডগ ইয়ার্ড, রুলিং মিল, জুট মিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । শ্রমিকদের কষ্টকর জীবনের কষ্ট আরো বাড়ছে । ভালো জনে থাকে ভাঙ্গা ঘরে মন্দ যে সেজন সিংহাসনে বসে। এ যেনো এক হিরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। দূর্নীতি বাজ লুটপাট কারি
শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ কারি বড়লোক মালিকের গোষ্ঠী আজ এই দেশের মালিকানা পেয়ে বসে আছে অথচ যে শ্রমিক জীবন দিয়ে রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছে রাষ্ট্রের চাকা ঘুরাচ্ছে সেই রাষ্ট্রও শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করছে। শ্রমিক তার প্রকৃত সঠিক শ্রমের ন্যায্য মর্যাদাপূর্ণ মজুরি পাচ্ছে না, রেশন,হেল্থ কার্ড দেওয়া হচ্ছে না।
শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম গোলক আরো বলেন, যতদিন পর্যন্ত শ্রমিকরা তাদের অধিকার আদায়ে জন্য সঠিক সংগঠনকে শক্তিশালী না করবে ততদিন পর্যন্ত এই অবস্থা দুনিয়ার দেশে দেশে ছিলো, এখনো আছে আর যে সকল দেশের শ্রমিকরা জাগরণ তৈরি করতে পেরেছে সেই সব দেশে দেশে শ্রমিকরা প্রথম শ্রেণীর নাগরিক মর্যাদা পেয়েছে। মৌলিক সকল অধিকার পেয়েছে। তাই আমাদের দেশে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ জাগরণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে ।
শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ সেই মৌলিক আন্দোলনটি গড়ে তুলতে সচেষ্ট আছে । নিশ্চয়ই শ্রমিকদের জয় অনিবার্য । দুনিয়ার সব মজদুর এক হও সবাইকে মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।