পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। শুক্রবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ এই বৈঠকের তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আজ নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে পশ্চিম সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তুতি পর্যালোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন।

এই বৈঠকে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠি, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

২২ শে এপ্রিল পেহেলগামে হামলার পর ৬ থেকে ৭ মে ২০২৫-এর রাতে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালায় ভারত।

ভারত এই হামলাকে ‘লক্ষ্যভিত্তিক, সুষম এবং উসকানিমুক্ত’ বলে ব্যাখ্যা করে। তারা আরও জানায়, এই অভিযানে পাকিস্তানের কোনো সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।

তবে এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার অভিযোগ তুলছে।

ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমছে না। দুদেশের মধ্যে এ উত্তেজনার শুরু ২২ এপ্রিল। সেদিন পেহেলগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তবে তা নাকচ করেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে অভিযান চালায় ভারত। ওই রাতেই দেশটির পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করে পাকিস্তান। সূত্র-বিবিসি

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার ৪  

বন্দরে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ  বিভিন্ন ওয়ারেন্টে ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের  বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে উল্লেখিত ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের লের্জাস ১নং গল্লী এলাকার মৃত আজিম মিয়ার ছেলে বন্দর থানা ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একাধিক জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রুবেল (৩৪) একই থানার সোনাকান্দা মসজিদ এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী জনি (৩৫)|r

একই থানার রামনগর এলাকার মৃত সিদ্দিক মুন্সী ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত  আব্দুল কুদ্দুস (৫২) ও গকুলদাশেরবাগ এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ইব্রাহিম (৩০)। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ