সরকারি তিতুমীর কলেজে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘মাইন্ড ম্যাটার্স: জিটিসি মেন্টাল হেলথ অ্যাওয়ারনেস উইক’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

রবিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ বরকত মিলনায়তনের সামনে তিতুমীর কলেজ সাইকোলজি সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত এর উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

ছদরুদ্দীন আহমদ।

এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এ বিষয়ে সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা ভাঙা। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ কলেজ প্রাঙ্গণে স্থাপিত ‘মাইন্ড চেক-আপ বুথ’।

আরো পড়ুন:

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি

কিটো ডায়েট সম্পর্কে চিকিৎসকের সতর্কবার্তা

বুথটি প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এখানে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন করতে পারবেন। এছাড়া তাদের মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মৌলিক দিকনির্দেশনাও দেওয়া হবে।

সপ্তাহজুড়ে চলা এই কর্মসূচিতে থাকছে নানা সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ও সরাসরি আলোচনার আয়োজন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানসিক সুস্থতার প্রয়োজনীয়তা ও তা রক্ষার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সাইকোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. আদিত আহমেদ বলেন, “আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এখনো ব্যাপক উদাসীনতা রয়েছে, যা বড় চ্যালেঞ্জ। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা সেই চর্চাকে বদলাতে চাই।”

তিনি বলেন, “সোমবার (১৯ মে) কলেজের সাইকোলজি বিভাগের সেমিনার কক্ষে গোপনীয় কাউন্সেলিং সেশন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রশিক্ষিত কাউন্সেলরদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একান্ত পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ পাবেন, যা তাদের মানসিক চাপ মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরো বলেন, “মঙ্গলবার (২০ মে) আয়োজিত হবে ‘সচেতনতা চোখ খুলে, উদ্যোগ খুলে সুস্থতার দ্বার’ শিরোনামে একটি সেমিনার। সেমিনারে বক্তা হিসেবে থাকবেন মনোবিজ্ঞানী ও ঢাকা কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাজমুন নাহার মুনমুন। আমাদের এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।”

ঢাকা/হাফছা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল

মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর)  বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। 

সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।” 

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকা/চন্দন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ