নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে রাবি শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রীরা।

এ কর্মসূচিতে ‘নারী পুরুষ বাইনারি, এই শর্তেই দেশ গড়ি’, ‘যৌন কর্মী স্বীকৃতি দান, মায়ের জাতির অপমান’, ‘সম অধিকার নয়, চাই ন্যায্য অধিকার’, ‘নারী পুরুষ একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগী’, ‘পতিতাবৃত্তিকে না বলি’, ‘সমতার নামে নারীর বিকৃতি চলবে না’, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চাই, অপসংস্কৃতি চলবে না’, ‘Say No to LGBTG Agenda’ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড ব্যবহার করতে দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

রাবিতে বিভিন্ন পদে বহাল আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা

রাবির মেডিকেলে চেয়ার দিল ইবনে সিনা ট্রাস্ট

এ সময় ছাত্রী সংস্থার নেত্রীরা বলেন, গত ১৯ এপ্রিল নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন-২০২৫ এর ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটা টিম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে ৩১৮ পৃষ্ঠার ৪২৩টি প্রস্তাবণা দেন। যার অধিকাংশ প্রস্তাবণা আমাদের ইসলাম ধর্ম-জাতিসত্ত্বার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা নারীদের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক, যেখানে নারীদের মর্যাদাকে খর্ব করা হয়েছে।

তারা আরো বলেন, এখানে তারা স্বাধীনতার নামে যে প্রস্তাবণা দিয়েছেন এতে আমাদের পরিবারিক কলহ আরো বাড়িয়ে তুলবে। তারা এখানে সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা পক্ষ থেকে নারী পুরুষের কিছু পার্থক্য রয়েছে। একজন নারী-পুরুষের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য-গঠন আলাদা। এটাকে অগ্রাহ্য করে তারা ভিন্ন যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে। আমরা এ নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চাই।

একইসঙ্গে এ সংস্কার কমিশনের সমালোচনা করার পর এটাকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য তারা ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রার’ নামে নতুন নাটক শুরু করেছে। উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, অশালীন পোষাকে নারীর অধিকার আদায়ের নামে নারীর ভূষণকে খর্ব করা হয়েছে, ধর্মীয় শিষ্টাচারকে উগ্রবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, যা ধর্মীয় অবমাননা।

ছাত্রীরা বলেন, ট্রান্স মুক্তিকে নারীমুক্তি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে, যেখানে অধিকাংশ কার্যক্রম নারীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা এলজিবিটিজিকে প্রমোট করছে, যা আমাদের মানবসম্প্রদায় জন্য একটা বিধ্বংসী মতবাদ। অথচ ট্রান্সজেন্ডার ধারণা বিকৃত মস্তিষ্ক থেকেই উদ্ভুত, মানবকল্যাণেই যার বৈধতা নয়, বরং চিকিৎসা প্রয়োজন।

ধর্ম, সংস্কৃতি ও জনমতকে অবজ্ঞা করে গঠিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিল, সামাজিক বাস্তবতায় বিশ্বাসী এবং দেশের অধিকাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন এমন প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিশন পুনর্গঠন করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেট বিভাগের ১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

সিলেট বিভাগের ১৯ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে খেলাফত মজলিস। দলীয় প্রতীক ‘দেয়াল ঘড়ি’ নিয়ে তারা নির্বাচন করবেন। গতকাল শুক্রবার নগরীর জিন্দাবাজারের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও দলের বর্তমান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাসউদ খান ঘোষণা করেন।

সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে সিলেট জেলা খেলাফত মজলিসের সহসভাপতি মোহাম্মদ ফজর আলী, সুনামগঞ্জ-২ আসনে জেলার সিনিয়র সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন মোহন, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে লন্ডন মহানগর খেলাফতের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মুশতাক আহমদ, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে যুক্তরাজ্যের লুটন শাখা খেলাফতের সহ-সেক্রেটারি মাওলানা আমিরুল ইসলাম ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনে লন্ডন মহানগর খেলাফতের সহসভাপতি মাওলানা আবদুল কাদির।

সিলেট-১ আসনে মহানগর খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, সিলেট-২ আসনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, সিলেট-৩ আসনে জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন, সিলেট-৪ আসনে কেন্দ্রীয় ওলামাবিষয়ক সম্পাদক মুফতি আলী হাসান উসামা, সিলেট-৫ আসনে জেলার উপদেষ্টা মুফতি আবুল হাসান, সিলেট-৬ আসনে যুক্তরাজ্য দক্ষিণ শাখা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা সাদিকুর রহমান। মৌলভীবাজার-১ আসনে কাতার খেলাফত মজলিসের সহসভাপতি মাওলানা লুকমান আহমদ, মৌলভীবাজার-২ আসনে অধ্যক্ষ সাইফুর রহমান খোকন, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মাওলানা আহমদ বিলাল ও মৌলভীবাজার-৪ আসনে মাওলানা নূরুল মুত্তাকীন জুনায়েদ।

হবিগঞ্জ-১ আসনে জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল কাইয়ুম জাকি, হবিগঞ্জ-২ আসনে জেলা আমির মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ, হবিগঞ্জ-৩ আসনে জেলা সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার রহমান চৌধুরী ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ