রাবিতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি
Published: 21st, May 2025 GMT
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বুধবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে রাবি শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রীরা।
এ কর্মসূচিতে ‘নারী পুরুষ বাইনারি, এই শর্তেই দেশ গড়ি’, ‘যৌন কর্মী স্বীকৃতি দান, মায়ের জাতির অপমান’, ‘সম অধিকার নয়, চাই ন্যায্য অধিকার’, ‘নারী পুরুষ একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগী’, ‘পতিতাবৃত্তিকে না বলি’, ‘সমতার নামে নারীর বিকৃতি চলবে না’, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চাই, অপসংস্কৃতি চলবে না’, ‘Say No to LGBTG Agenda’ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড ব্যবহার করতে দেখা যায়।
আরো পড়ুন:
রাবিতে বিভিন্ন পদে বহাল আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা
রাবির মেডিকেলে চেয়ার দিল ইবনে সিনা ট্রাস্ট
এ সময় ছাত্রী সংস্থার নেত্রীরা বলেন, গত ১৯ এপ্রিল নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন-২০২৫ এর ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটা টিম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে ৩১৮ পৃষ্ঠার ৪২৩টি প্রস্তাবণা দেন। যার অধিকাংশ প্রস্তাবণা আমাদের ইসলাম ধর্ম-জাতিসত্ত্বার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা নারীদের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক, যেখানে নারীদের মর্যাদাকে খর্ব করা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, এখানে তারা স্বাধীনতার নামে যে প্রস্তাবণা দিয়েছেন এতে আমাদের পরিবারিক কলহ আরো বাড়িয়ে তুলবে। তারা এখানে সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা পক্ষ থেকে নারী পুরুষের কিছু পার্থক্য রয়েছে। একজন নারী-পুরুষের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য-গঠন আলাদা। এটাকে অগ্রাহ্য করে তারা ভিন্ন যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে। আমরা এ নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চাই।
একইসঙ্গে এ সংস্কার কমিশনের সমালোচনা করার পর এটাকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য তারা ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রার’ নামে নতুন নাটক শুরু করেছে। উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, অশালীন পোষাকে নারীর অধিকার আদায়ের নামে নারীর ভূষণকে খর্ব করা হয়েছে, ধর্মীয় শিষ্টাচারকে উগ্রবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, যা ধর্মীয় অবমাননা।
ছাত্রীরা বলেন, ট্রান্স মুক্তিকে নারীমুক্তি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে, যেখানে অধিকাংশ কার্যক্রম নারীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা এলজিবিটিজিকে প্রমোট করছে, যা আমাদের মানবসম্প্রদায় জন্য একটা বিধ্বংসী মতবাদ। অথচ ট্রান্সজেন্ডার ধারণা বিকৃত মস্তিষ্ক থেকেই উদ্ভুত, মানবকল্যাণেই যার বৈধতা নয়, বরং চিকিৎসা প্রয়োজন।
ধর্ম, সংস্কৃতি ও জনমতকে অবজ্ঞা করে গঠিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিল, সামাজিক বাস্তবতায় বিশ্বাসী এবং দেশের অধিকাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন এমন প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিশন পুনর্গঠন করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দ্বীপে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় স্কুলছাত্রকে হত্যা
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মাদক, দখলবাজি ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ করায় দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতকে (১৭) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামসেদুর রহমানের ছেলে। বাবা জামসেদুর সন্দ্বীপ উপজেলা শ্রমিকদলের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও মগধরা ইউনিয়ন বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক।
সাংবাদিকদের দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে জামসেদর রহমান অভিযোগ করেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সারিকাইত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী রাজুর নেতৃত্বে আমার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। তারা ৪ ঘণ্টা ছেলেকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। রাজু বাহিনীর হামলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে রিফাত মৃত্যুবরণ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারিকাইত ইউনিয়ন থেকে বহিরাগতরা মগধরা ইউনিয়নে অবৈধ ব্যবসা করতো। আমার ছেলে মাদক, অবৈধ মাটি কাটা, দখলবাজি ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ করতো। এসব নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ১৮ মে ইউএনও’র কাছে একটি অভিযোগ দেওয়ার পরদিন ১৯ মে রাজু বাহিনী আমার ছেলেকে হত্যা করে।,
স্থানীয়রা জানান, ১৯ মে সন্ধ্যা ৮টায় জামসেদুর রহমানের ছেলে রিফাতের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে রিফাতের ওপর হামলা হয়। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা খবর পেয়ে আহত রিফাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।