মেসি-সুয়ারেজের জোড়া গোল, জয়ে ফিরল মায়ামি
Published: 29th, May 2025 GMT
চার ম্যাচ পর জয়ে ফিরল ইন্টার মায়ামি। আজ মেজর লিগ সকারে কানাডিয়ান ক্লাব মন্ট্রিয়লকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে দলটি। ম্যাচে মায়ামির ৪ গোল করেছেন দুই তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ। মেসি ২টি, সুয়ারেজও ২টি।
মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে জয়ের আগে সর্বশেষ চার ম্যাচের দুটিতে হার আর দুটিতে ড্র করেছিল মায়ামি।
চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ২৭তম মিনিটে মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি। পুরো ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ৬ গোল করলেও প্রথমার্ধে গোল এই একটিই।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল-মিছিল শুরু হয় ৬৮তম মিনিটে। মেসির বাড়ানো বল ধরে গোল করেন সুয়ারেজ। এরপর ৭১ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০-ও বানিয়ে ফেলেন উরুগুইয়ান তারকা।
আগের ১৫ ম্যাচের মাত্র একটিতে জেতা মন্ট্রিয়ল প্রথম গোলের দেখা পায় ৭৪ মিনিটে, দান্তেসিলির সৌজন্য।
তবে ৮৭ মিনিটে মেসি আরেকটি গোল করলে ব্যবধান বড়ই থাকে মায়ামির পক্ষে। শেষ দিকে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মন্ট্রিয়লের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন ভিক্টর লুটোরি, যা ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে।
এই জয়ে এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে উঠে এসেছে মায়ামি। শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়ার পয়েন্ট ১৬ ম্যাচে ৩৩। আর মন্ট্রিয়ল ১৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ দলের মধ্যে সবার শেষে।
মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে জয়ের পর সুয়ারেজ সাম্প্রতিক জয়খরার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ‘বাজে ফলের দায় আমাদের নিতে হবে। এখন সময় নিজেদের শুধরে নিয়ে আত্মবিশ্বাস ফেরানো। এই জয়ের মাহাত্ম্য অনেক। আমরা এ ধরনের ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে চাই।’
মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো অবশ্য জয়ে ফেরার আনন্দের পাশাপাশি কয়েকজন ডিফেন্ডারের চোট নিয়ে চিন্তিতও, ‘আমাদের বাজে সময় পার করা দরকার ছিল। সেটা হওয়ায় আমি খুশি। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে জয়ের আনন্দ মলিন হয়ে গেছে গনজালো লুজান, টমা অ্যাভিলেস এবং জর্দি আলবা মাঠ ছেড়ে যাওয়া। গঞ্জালো আর জর্দির পেশিতে সমস্যা হয়েছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় বুঝতে একদিন সময় লাগবে। আর টমাসের সমস্যা অ্যাঙ্কেলে। সে হয়তো খেলতে পারবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’