ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র সরকারি-মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রিত কর্পোরেশন জিওসিসি’র সব পদস্থ নির্বাহীদের পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট মার্কোস তার প্রশাসনকে ঢেকে সাজানোর ‘সাহসী’ পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় এবার জিওসিসি’র আওতাধীন ১০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট তার মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের পদত্যাগ করতে বলার ছয় দিন পর নতুন এই পদক্ষেপ নিলেন। 

নোটিশটি গত সোমবার জারি করা হয়েছিল কিন্তু বুধবার তা প্রকাশ করা হয়েছে। নোটিশে সমস্ত পদাধিকারবহির্ভূত চেয়ারপারসন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সমস্ত নিযুক্ত পরিচালক, ট্রাস্টি এবং জিওসিসি গভর্নিং বোর্ডের সদস্যদের ‘অবিলম্বে নির্বাহী সচিবের কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের কাছে তাদের নিজ নিজ সৌজন্য পদত্যাগপত্র জমা দিতে’ বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত ‘জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে মার্কোস প্রশাসনের নীতি ও অগ্রাধিকারগুলোকে পুনর্বিন্যাস করায় প্রেসিডেন্টের ঘোষিত অভিপ্রায়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ’।

এতে আরো বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ কর্মকর্তারা ‘প্রেসিডেন্টের কার্যালয় কর্তৃক যথাযথ বিবেচনা করা যেকোনো নির্দেশের সাপেক্ষে’ তাদের কাজ চালিয়ে যাবেন যতক্ষণ না তাদের পদত্যাগপত্র কার্যকর করা হয়।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত জিসিজি হলো কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান সংস্থা, যা জিওসিসি পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও সমন্বয় করার জন্য অনুমোদিত।

ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারকে দেওয়া এক বার্তায় জিসিজি চেয়ারম্যান মারিয়াস কর্পাস বলেন, “এই আদেশটি কেবল জিসিজি’র অধীনে ১১৭টি সংস্থার জন্য প্রযোজ্য। অর্থনীতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মতো জিওসিসি জিসিজির এখতিয়ারভুক্ত নয়।” 

জিওসিসি একটি স্টক বা নন-স্টক কর্পোরেশন হিসাবে সংগঠিত সংস্থা, যা জনসাধারণের চাহিদা সম্পর্কিত কাজে ন্যস্ত। 

জিসিজি চেয়ারম্যান কর্পাস জানান, তিনি ইতিমধ্যে তার সৌজন্যমূলক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, কিন্তু নির্বাহী সচিব লুকাস বারসামিনের কাছ থেকে এখনও কিছু জানতে পারেননি যে, তাকে বহাল রাখা হবে কিনা।

কর্পাস বলেন, “এটা আসলে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। আমি আমার বর্তমান পদের জন্য আবেদন করিনি এবং যেকোনো সিদ্ধান্তে আমি রাজি থাকব।”

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট গত ১২ মে’র মধ্যবর্তী নির্বাচনে সরকার-সমর্থিত প্রার্থীদের খারাপ ফলাফলের কথা উল্লেখ করে গত সপ্তাহে তার মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গপত র দ র পদত য গ ফ ল প ইন র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ