ফিলিপাইনে সরকারি মালিকানাধীন সব কর্পোরেশন প্রধানকে পদত্যাগের নিদে
Published: 29th, May 2025 GMT
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র সরকারি-মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রিত কর্পোরেশন জিওসিসি’র সব পদস্থ নির্বাহীদের পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট মার্কোস তার প্রশাসনকে ঢেকে সাজানোর ‘সাহসী’ পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় এবার জিওসিসি’র আওতাধীন ১০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট তার মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের পদত্যাগ করতে বলার ছয় দিন পর নতুন এই পদক্ষেপ নিলেন।
নোটিশটি গত সোমবার জারি করা হয়েছিল কিন্তু বুধবার তা প্রকাশ করা হয়েছে। নোটিশে সমস্ত পদাধিকারবহির্ভূত চেয়ারপারসন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সমস্ত নিযুক্ত পরিচালক, ট্রাস্টি এবং জিওসিসি গভর্নিং বোর্ডের সদস্যদের ‘অবিলম্বে নির্বাহী সচিবের কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের কাছে তাদের নিজ নিজ সৌজন্য পদত্যাগপত্র জমা দিতে’ বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত ‘জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে মার্কোস প্রশাসনের নীতি ও অগ্রাধিকারগুলোকে পুনর্বিন্যাস করায় প্রেসিডেন্টের ঘোষিত অভিপ্রায়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ’।
এতে আরো বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ কর্মকর্তারা ‘প্রেসিডেন্টের কার্যালয় কর্তৃক যথাযথ বিবেচনা করা যেকোনো নির্দেশের সাপেক্ষে’ তাদের কাজ চালিয়ে যাবেন যতক্ষণ না তাদের পদত্যাগপত্র কার্যকর করা হয়।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত জিসিজি হলো কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান সংস্থা, যা জিওসিসি পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও সমন্বয় করার জন্য অনুমোদিত।
ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারকে দেওয়া এক বার্তায় জিসিজি চেয়ারম্যান মারিয়াস কর্পাস বলেন, “এই আদেশটি কেবল জিসিজি’র অধীনে ১১৭টি সংস্থার জন্য প্রযোজ্য। অর্থনীতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মতো জিওসিসি জিসিজির এখতিয়ারভুক্ত নয়।”
জিওসিসি একটি স্টক বা নন-স্টক কর্পোরেশন হিসাবে সংগঠিত সংস্থা, যা জনসাধারণের চাহিদা সম্পর্কিত কাজে ন্যস্ত।
জিসিজি চেয়ারম্যান কর্পাস জানান, তিনি ইতিমধ্যে তার সৌজন্যমূলক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, কিন্তু নির্বাহী সচিব লুকাস বারসামিনের কাছ থেকে এখনও কিছু জানতে পারেননি যে, তাকে বহাল রাখা হবে কিনা।
কর্পাস বলেন, “এটা আসলে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। আমি আমার বর্তমান পদের জন্য আবেদন করিনি এবং যেকোনো সিদ্ধান্তে আমি রাজি থাকব।”
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট গত ১২ মে’র মধ্যবর্তী নির্বাচনে সরকার-সমর্থিত প্রার্থীদের খারাপ ফলাফলের কথা উল্লেখ করে গত সপ্তাহে তার মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গপত র দ র পদত য গ ফ ল প ইন র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।
এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।
জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’
কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।