বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘বীজের গুণগত মান ও স্বাস্থ্য’-বিষয়ক পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীজ রোগতত্ত্ব কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কর্মশালা শুরু হয়।

বিএডিসি’র আয়োজনে ও আর্থিক সহযোগিতায় সহায়তায় এ কর্মশালা আগামী ২ জুন শেষ হবে। 

অধ্যাপক গোলাম আলী ফকির সীড প্যাথলজি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড.

মো. আয়ুব আলীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিএম মুজিবর রহমান।

অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন, কোষাধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমেদ খায়রুল হাসান, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রধান অধ্যাপক ড. কেএম গোলাম দস্তগীর এবং বিএডিসি'র রিসার্চ সেলের প্রধান সমন্বয়কারী ড. মো. নাজমুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিএম মুজিবর রহমান বলেন, “সিড সায়েন্স নিয়ে এখনো আমাদের সুযোগ রয়েছে। যদিও শুরুতে আমরা পর্যাপ্ত গুরুত্ব দিতে পারিনি, এখনো এটি ইনস্টিটিউট হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তব সম্ভাবনা আছে। কারণ বীজ নিয়ে ব্যবসা একটি বড় এবং সম্ভাবনাময় খাত।”

তিনি বলেন, “বিএডিসি ইতোমধ্যেই ব্যাপকভাবে কাজ করছে, বিশেষ করে কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্সে। তবে বীজের স্বাস্থ্য বা সিড হেলথ বিষয়ে এখনো পর্যাপ্ত কাজ হয়নি। আমাদের দেশে বছরে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার সিড (বীজ) ব্যবহৃত হয়। অথচ এখনো অনেকের ধারণা নেই যে সিডের মাধ্যমে রোগ ছড়ায় এবং এটি একটি বড় সমস্যা হতে পারে।”

তিনি আরো বলেন, “সিড বোর্ণ রোগ থেকে মুক্ত রাখার বিষয়টি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিএসডিসি'র অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি ও অবকাঠামো ব্যবহারের মাধ্যমে যদি দক্ষ জনবল তৈরি করা যায়, তবে বীজের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। এই খাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ লোক তৈরি করার বিশাল সুযোগ আমাদের সামনে রয়েছে।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এড স

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে প্রেমের সিনেমা করতে চান প্রসেনজিৎ

ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা জুটি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ও দেবশ্রী রায়। পর্দায় এ জুটির রোমান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। রুপালি পর্দার রোমান্স ব্যক্তিগত জীবনেও গড়ায়। ভালোবেসে দেবশ্রী রায়কে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু কয়েক বছর পরই এ বিয়ে ভেঙে যায়। তারপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। 

সংসার ভাঙার পাশাপাশি দর্শক হারান রুপালি পর্দার জনপ্রিয় এই জুটিকে। এরপর আর কোনো সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। অবশেষে দূরত্ব কমিয়ে দেবশ্রীর সঙ্গে সিনেমা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন প্রসেনজিৎ।  

আরো পড়ুন:

নিজেকে তৈরি করে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করব: স্বস্তিকা

ছেলের বন্ধুরা ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

কিছুদিন আগে ‘আমি যখন হেমা মালিনী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছিলেন—“দেব-শুভশ্রী জুটির পর আমি চাই আবার প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী জুটি ফিরুক, এই জুটিটা ফেরার অত্যন্ত প্রয়োজন।” ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিতের এই বক্তব্য প্রসেনজিৎকে জানানো হয়। 

এ বিষয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, “আমি তো চাই দীপকদা একটা স্ক্রিপ্ট লিখুক আমাদের জন্য, আমার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল এবং আমি অনেকবার দীপকদাকে বলেছি যে, আমি তোমার পরিচালনায় একটা কাজ করতে চাই। দীপকদা, আমাদের জন্য যদি পরিচালনা করেন তাহলে অবশ্যই আমি সিনেমা করতে চাই। আর আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে দেবশ্রীর সঙ্গে আবারো একটা পরিণত প্রেমের সিনেমা করতে চাই।” 

তাহলে কী পুরোনো তিক্ততা ভুলে গেছেন প্রসেনজিৎ? জবাবে এই নায়ক বলেন, “আমার কারো সঙ্গে কোনো তিক্ততা নেই। যে আমার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলবে, আমি সব সময় তাদের জন্য আছি। আর কোনো তিক্ততা নিয়ে বাঁচতে চাই না, যে কটা দিন আছি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নিয়েই থাকতে চাই।” 

এক সময় দেবশ্রীকে নিয়ে কথা বলতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন না প্রসেনজিৎ। তবে অভিমান ভুলে কাজের ক্ষেত্রে আবার এক হওয়ার কথা বললেন তিনি। বর্তমানকে ভালোবেসে যেমন এগিয়ে যান, ঠিক তেমনই কি অতীতকেও আঁকড়ে বাঁচেন?  

এ প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিৎ বলেন, “নিজের অতীতকে কখনো উপেক্ষা করা যায় না। মাঝেমাঝেই আমি আমার অতীতে ফিরে যাই; সেই সময়গুলোর জন্যই আজকের আমি। অতীত আমাকে অনেক ভালোবাসা, রাগ-দুঃখ-ক্ষোভ দিয়েছে। আমার ক্ষেত্রে যেটা অল্প কিন্তু তবু আছে সেটা হলো—ঘৃণা। সেটাও পেয়েছি, তবে অতীত যেমনই হোক না কেন, তাকে কখনো ফেলে দেওয়া যায় না। আমরা সবাই মাঝে মাঝে অতীতে ফিরে যাই।” 

সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দ্বিধাবোধ করেন না প্রসেনজিৎ।তার ভাষায়—“এই বদলগুলোকে মেনে না নিলে আমাকে পিছিয়ে পড়তে হবে। আমি প্রচুর বদল দেখেছি, তবে যেই সময় যেটা এসেছে, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছি, এটাই তো করা উচিত। না হলে বর্তমান প্রজন্ম থেকে দূরে সরে যেতে হবে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ