বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিনিদের সতর্ক করল দূতাবাস
Published: 29th, May 2025 GMT
বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করে চলাফেরা করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক বার্তায় এই আহ্বান রাখা হয়েছে।
দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়েছে, “সম্প্রতি বাংলাদেশজুড়ে বিক্ষোভের সংখ্যা বাড়ার কারণে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মনে রাখা উচিত যে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভগুলো সংঘর্ষ-সহিংসতায় পরিণত হতে পারে। আপনাদের বিক্ষোভ এড়িয়ে চলা উচিত এবং যেকোনো বড় সমাবেশের আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।”
আরো পড়ুন:
চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা ‘আগ্রাসীভাবে’ বাতিল করবে ট্রাম্প প্রশাসন
বিভিন্ন দেশের ওপর ট্রাম্পের শুল্কারোপে স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের
নিজ দেশের নাগরিকদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। এগুলো হলো- ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা, স্থানীয় অনুষ্ঠানসহ আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন, স্থানীয় সংবাদ চ্যানেলগুলো পর্যবেক্ষণ, বিক্ষোভ এড়িয়ে চলা, আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকা।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র সতর ক
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।