স্বাস্থ্য খাত সংস্কার প্রতিবেদন সংশোধন হচ্ছে
Published: 1st, June 2025 GMT
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে যেসব ভুলত্রুটি আছে, সেগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে কমিশনের এক সদস্য জানিয়েছেন। সার্বিকভাবে প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলেন, চলতি বছরের মধ্যেই বাস্তবায়নযোগ্য প্রতিবেদনের সুপারিশগুলোর তালিকা তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সংস্কার কমিশন সুপারিশ পর্যালোচনা ও উত্তরণের উপায়’–শীর্ষক সংলাপে এসব বিষয় উঠে আসে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং নাগরিক সংগঠন ইউএইচসি ফোরাম যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার প্রতিবেদনের দুর্বল দিকগুলোর সমালোচনার পাশাপাশি সুপারিশ বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিউটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘বিল্ডিং ব্লকস’ পন্থার ওপর ভিত্তি করে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এ পন্থায় বিভিন্ন দুর্বলতাকে দূর করে স্বাস্থ্য খাতকে দৃঢ় করা সম্ভব। সংস্কার বলতে, আমূল পরিবর্তন বলতে যা বোঝায়, তা এই পন্থায় সম্ভব নয়। পাশাপাশি এই স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘প্রতিবেদনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এক শ–দেড় শ বছর পরও এ প্রতিবেদনের গুরুত্ব থাকবে। সুতরাং যেসব দুর্বলতা এই প্রতিবেদনে আছে, তা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’
কমিশনের সদস্যরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন গত ৫ মে। দুর্বল সম্পাদনার এই প্রতিবেদনে অনেক বানান ভুল, অসংলগ্ন বাক্য ও তথ্যের বিভ্রান্তি আছে। অনুষ্ঠানে এ নিয়ে কথা হয়। অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ পর্যায়ে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, প্রতিবেদনের ভুলত্রুটি সংশোধনের কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সংস্কার প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়া বা জমা হওয়া মানেই কাজ চূড়ান্তভাবে শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এখন জরুরি কাজ হচ্ছে, সুপারিশগুলোকে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলা। সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যেই বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর তালিকা তৈরি করা এখন জরুরি।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রুমানা হক, ইউএইচসি ফোরামের সদস্য মো.
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান এম মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ওষুধের দামের চেয়ে মানসম্পন্ন ওষুধ সহজপ্রাপ্য করে তোলার বিষয়ে জোর দেওয়া উচিত। ওষুধের মানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমঝোতা করা ঠিক হবে না।
আইসিডিডিআরবির সাবেক জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ইকবাল আনোয়ার বলেন, রাজনৈতিক ডামাডোল বা অন্য কোনো বিতর্কের কারণে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য হালিদা হানুম আখতার, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য সৈয়দ লিয়াকত আলী ও আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন, ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খন্দকার এ মামুন বক্তব্য দেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএতে ফুলটাইম ও পার্টটাইম এমবিএ, সিজিপিএ ২.৫০ লাগবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ) ২০২৫-২৬ সেশনে ফুলটাইম ও পার্টটাইম এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কোর্সের বৈশিষ্ট্য১. আবেদনকারীকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
২. ভর্তির আবেদন ফি ২০৮০ টাকা।
আবেদনের যোগ্যতা১. যেকোনো ডিসিপ্লিনে ব্যাচেলর ডিগ্রি, কমপক্ষে সিজিপিএ ২.৫০ থাকতে হবে (৪-এর মধ্যে) অথবা দ্বিতীয় শ্রেণি থাকতে হবে।
২. এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ–৫–এর মধ্যে কমপক্ষে ৩ অথবা দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে পৃথক পৃথকভাবে।
৩. ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেলের ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় পৃথক পৃথকভাবে কমপক্ষে জিপিএ–২ থাকতে হবে। বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইটে দেখুন।
৩. কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ বা ক্লাস গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা কোর্স, যোগ্যতা এইচএসসি পাস১ ঘণ্টা আগেদরকারি তথ্য১. বিদেশি নাগরিকত্ব ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারী আবেদনকারীর লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে, যদি তাঁর জিআরই বা জিএমএটি স্কোর ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি হয়। তবে তাঁকে বোর্ডে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হবে।
২. সব বিদেশি সার্টিফিকেট/ডিগ্রির (‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল ব্যতীত) সমতা আইবিএর সমতা কমিটি দ্বারা নির্ধারিত হবে। এই সমতা ব্যতীত একজন আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য হবেন না।
৩. ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নয়—এমন কোনো প্রোগ্রাম থেকে ডিগ্রিধারী আবেদনকারী আবেদন করতে পারবেন না।
ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত১. আবেদনের শেষ তারিখ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫।
২. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫।
৩. ভর্তি পরীক্ষার সময়: সকাল ১০টা।
৪. ভর্তি পরীক্ষার স্থান: আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
# বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট