পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক প্রলয় চাকীর মদের ব্যবসা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা টেকনিক্যাল মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, সালাউদ্দিন চাদু, পাভেল হাসান ডন, মাসুদ রানা বিপ্লব, মীর সানজিদ প্রান্ত, বরকতুল্লাহ, মিরাজ আহমেদ, রতন মেম্বার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক প্রলয় চাকী বৈষম্যবিরোধী ছাত্রহত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রহত্যার মামলা হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পরও তিনি মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর কারণে স্থানীয় যুবকদের অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। তাঁর দোকানের আশপাশে ৩-৪টা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলোর চারপাশে দিনরাত মাদকসেবীরা আড্ডা দেয়। অনতিবিলম্বে এ ব্যবসা বন্ধ করে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে।

এ বিষয়ে প্রলয় চাকী বলেন, অর্ধশত বছর ধরে আমাদের এ ব্যবসা। লাইসেন্সধারীরা এখান থেকে মদ কেনেন। এখন ব্যবসা দূরের কথা, পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ প বন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

টাইগার ও কালা মানিক নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ী

ঈদুল আজহার আর মাত্র দুই দিন বাকি। কিন্তু কুমিল্লায় হাট কাঁপানো দুটি টাইগার ও দুটি কালা মানিক নামে বড় গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন। হাটে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম বাড়লেও গত তিন দিনে বিভিন্ন বাজার ঘুরে চাহিদামতো দাম না পাওয়ায় গরু চারটি বিক্রি করা যায়নি।

বাজারে ও বাড়িতে গরু চারটি দেখতে দর্শনার্থীর ভিড় থাকলেও ক্রেতা মিলছে না। জয়নালের ভাষ্য, অনেকেই গরুর সঙ্গে সেলফি তুলে চলে যান।

বুধবার বিকেলে কুমিল্লা শহরতলির চাঁনপুর-গাউছিয়া গরুর হাটে দেখা মেলে কালা মানিক ও টাইগারের। গরু চারটি নিয়ে আসা জয়নাল আবেদীন কুমিল্লা সদর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা।

বাজারে প্রবেশের সময় বাজার কমিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মাইকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছিল, এবার বাজারে চলে এসেছে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও কালা মানিক। টাইগার ও কালা মানিক দেখতে হলে বাজারে আসতে হবে। বাজারের ভেতরে গিয়ে দেখা গেল, টাইগার ও কালা মানিকের গলায় লাল মালা পরিয়ে হাটে তুলেছেন বিক্রেতা। তাদের ঘিরে রেখেছে উৎসক মানুষ। কেউ কেউ গরুর সঙ্গে সেলফি তুলছেন। 

জয়নাল আবেদীন বলেন, টাইগার দুটির ওজন ২৮ মণ করে। গায়ের রং খয়েরি লাল। এরা একটি লম্বায় ৮ ফুট ও উচ্চতা ৬ ফুট আর কালা মানিকের ওজন ২০ মণ করে, গায়ের রং কালো। এদের উচ্চতা ৭ ফুট ও লম্বায় ৬ ফুট। টাইগার দুটির দাম ধরা হয়েছে সাড়ে ১৪ লাখ আর কালা মানিক দুটির দাম ১২ লাখ। তবে ক্রেতারা পছন্দ করলে দরদাম করে কিছুটা কমানো যাবে।

জয়নাল আবেদীন জানান, এই চারটি গরু তাঁর বাড়িতে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে দুই বছর ধরে লালন-পালন করা হয়েছে। প্রতিদিন গোসল করানো হয় এবং তার খাবারে থাকে ময়দা, ভুসি, দানাগুড়, গম, কালাইসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্য।

এদিকে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গরুর মালিক জয়নাল মোবাইল ফোনে সমকালকে বলেন, ‘ক্রেতারা দুটি টাইগার ১০ লাখ এবং দুটি কালা মানিকের দাম ৯ লাখ বলেছেন। এ দামে বিক্রি করলে বড় লোকসান হবে। তাই আরও দুই দিন দেখব।’

বাজারের ইজারাদার তোফায়েল আহমেদ জানান, বাজারের সবচেয়ে আকর্ষণ হচ্ছে চারটি টাইগার ও কালা মানিক গরু। এদের দেখতে মানুষ সকাল থেকে বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন। দুপুর পর্যন্ত অনেকেই দাম জেনেছেন; কিন্তু কেউ কিনতে সাহস করেননি। তিনি বলেন, এই বাজার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায়। এই বাজারে ভারতীয় গরু প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। বেচাকেনা ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত চলবে। বগুড়া, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে গরু এনেছেন ব্যবসায়ীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ