ক্যান্সারে আক্রান্ত ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর, ১৪ ঘন্টা ধরে চলল অস্ত্রোপচার
Published: 7th, June 2025 GMT
দ্বিতীয় পর্যায়ের লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ার পর দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার এক অস্ত্রোপচার করা হয় ভারতীয় টিভি অভিনেত্রী দীপিকা কক্করের ওপর। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের
ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে দীপিকার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছেন তার স্বামী শোয়েব ইব্রাহিম। সাত মিনিটের ওই ভিডিওতে শোয়েব জানান, দীপিকা বর্তমানে আইসিইউ থেকে বের হয়েছেন এবং হাসপাতালে রয়েছেন।
অস্ত্রোপচারের ব্যাপারে শোয়েব জানান, দিপিকার যকৃতে একটি টিউমার ছিল। ডাক্তাররা টিউমারের পাশাপাশি যকৃতেরও একাংশ অস্ত্রোপচার করে বাদ দেন। এর পাশাপাশি ছোটপর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর গল ব্লাডারেও একটি অস্ত্রোপচার হয়।
অস্ত্রোপচারের পর তিন দিন আইসিইউতে ছিলেন দীপিকা। এ সময়ে তাকে তরল খাবার খেতে হয়। তাকে হাসপাতালে আরও তিন থেকে পাঁচদিন থাকতে হবে, শোয়েব জানান।
"সে (দীপিকা) দ্রুত সেরে ওঠার পথে রয়েছে, সে হাঁটাচলা করছে এবং ব্লাড রিপোর্ট ভালো এসেছে," তিনি বলেন।
অস্ত্রোপচারটি ১৪ ঘন্টা ধরে চলার কারণে দীপিকার পরিবারের মাঝে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল।
"অস্ত্রোপচার শুরু হওয়ার আগে দীপিকার সাথে সকালে সাড়ে আটটা পর্যন্ত ছিলাম আমি। সাড়ে এগারোটার দিকে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ডাক্তাররা যদিও বলেছিলেন অস্ত্রোপচারে সময় লাগবে, সন্ধ্যা ৬-৭টার দিকে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। আমরা কখনো এতো লম্বা অস্ত্রোপচার দেখিনি, ফলে কিছুটা ভয় পাওয়া স্বাভাবিক," শোয়েব বলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের নিয়ে ঈদ আনন্দ, গান গাইলেন নোবেল
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে কারাবন্দি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। তিনি মঞ্চে উঠে গেয়েছেন নগর বাউল জেমসের গান; মাতিয়েছেন বন্দিদের।
ঈদের দিন আজ শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কারা কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বন্দিশালার মাঠে আয়োজিত হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠান।
ঈদের দিনে জেলের বন্দিদের জন্য গান গেয়ে হয়তো ‘আশা’ দেখিয়েছেন নোবেল। বন্দি মানুষগুলোর জন্যও হয়তো ঈদ হতে পারে আনন্দের। তবে, গায়ক নোবেল নিজেকে পরিশুদ্ধ করে ফিরে আসবে গানের জগতে, এমনটাই হয়তো চাইবেন তার ভক্তরা।
মঞ্চে নোবেল ‘অভিনয়’, ‘ভিগি ভিগি’, ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হয়ে গেলে’সহ তার জনপ্রিয় কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। নোবেলের কণ্ঠে গাওয়া এসব গান শুনে অন্য বন্দিরাও আবেগ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। গানে গানে তৈরি হয় এক ভিন্নরকম উৎসবমুখর পরিবেশ।