দ্বিতীয় পর্যায়ের লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ার পর দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার এক অস্ত্রোপচার করা হয় ভারতীয় টিভি অভিনেত্রী দীপিকা কক্করের ওপর। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের

ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে দীপিকার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছেন তার স্বামী শোয়েব ইব্রাহিম। সাত মিনিটের ওই ভিডিওতে শোয়েব জানান, দীপিকা বর্তমানে আইসিইউ থেকে বের হয়েছেন এবং হাসপাতালে রয়েছেন। 

অস্ত্রোপচারের ব্যাপারে শোয়েব জানান, দিপিকার যকৃতে একটি টিউমার ছিল। ডাক্তাররা টিউমারের পাশাপাশি যকৃতেরও একাংশ অস্ত্রোপচার করে বাদ দেন। এর পাশাপাশি ছোটপর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর গল ব্লাডারেও একটি অস্ত্রোপচার হয়। 

অস্ত্রোপচারের পর তিন দিন আইসিইউতে ছিলেন দীপিকা। এ সময়ে তাকে তরল খাবার খেতে হয়। তাকে হাসপাতালে আরও তিন থেকে পাঁচদিন থাকতে হবে, শোয়েব জানান। 

"সে (দীপিকা) দ্রুত সেরে ওঠার পথে রয়েছে, সে হাঁটাচলা করছে এবং ব্লাড রিপোর্ট ভালো এসেছে," তিনি বলেন। 

অস্ত্রোপচারটি ১৪ ঘন্টা ধরে চলার কারণে দীপিকার পরিবারের মাঝে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। 

"অস্ত্রোপচার শুরু হওয়ার আগে দীপিকার সাথে সকালে সাড়ে আটটা পর্যন্ত ছিলাম আমি। সাড়ে এগারোটার দিকে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ডাক্তাররা যদিও বলেছিলেন অস্ত্রোপচারে সময় লাগবে, সন্ধ্যা ৬-৭টার দিকে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। আমরা কখনো এতো লম্বা অস্ত্রোপচার দেখিনি, ফলে কিছুটা ভয় পাওয়া স্বাভাবিক," শোয়েব বলেন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ