অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
রবিবার (৮ জুন) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শুভেচ্ছা বিনিময়ের চিঠিগুলো শেয়ার করা হয়।
৪ জুন পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, “এই পবিত্র উৎসব সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং লাখো ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ এই উৎসব অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করেন। এটি আমাদের ত্যাগ, করুণা ও ভ্রাতৃত্বের চিরন্তন মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠনে অপরিহার্য।”
আরো পড়ুন:
ভারতে করোনার প্রকোপ বাড়ায় বেনাপোলে সতর্কতা জারি
‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ, প্রতিক্রিয়া জানাল সেনাবাহিনী
শুভেচ্ছা বার্তায় ড.
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তার উত্তরে শুক্রবার (৬ জুন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “পবিত্র ঈদুল আজহার এই শুভ উপলক্ষে আপনার (মোদি) চিন্তাশীল বার্তা, আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দনের জন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ, যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। আমি এই পবিত্র ঈদ উপলক্ষে আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে ভারতের জনগণকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে চাই।”
“পবিত্র ঈদুল আজহা এমন একটি উৎসবের সময়, যা মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসব, ত্যাগ, উদারতা ও ঐক্যের চেতনায় একত্রিত করে এবং বিশ্বব্যাপী জনগণের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য একসাথে কাজ করতে আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। আমি বিশ্বাস করি যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতার চেতনা আমাদের জনগণের কল্যাণের জন্য একসাথে কাজ করতে নির্দেশনা দেবে।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “এই পবিত্র ঈদে আমি আপনার (মোদি) সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং ভারতের জনগণকে শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।”
ঢাকা/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ ইতিবাচক
জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের প্রতিফলন ছিল বলে মনে করে গণসংহতি আন্দোলন। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে দলটি। আজ শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।
এর আগে সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে তিনি বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গণ-অভ্যুত্থানের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করার জন্য আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সরকারের সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণা করা দরকার। এই তিনটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের প্রয়োজনীয়তার কথা সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে বারবার বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে এর প্রতিফলন ছিল, সেটা ইতিবাচক।’
তবে গণসংহতি আন্দোলন বলেছে, ‘অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। আমরা এটাও বলেছিলাম, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে না পারলে তার কারণ সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট হওয়া দরকার। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় হিসেবে এপ্রিলের প্রথমার্ধের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রতিকূল আবহাওয়া, পাবলিক পরীক্ষা এবং এর আগে রোজা—সব মিলিয়ে নির্বাচনের জন্য এই সময়টা কতটা অনুকূল ও বাস্তবসম্মত হবে, সে ব্যাপারে আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আরও আলোচনা ইতিবাচক হবে বলে আমরা মনে করি।’
পাশাপাশি গণসংহতি আন্দোলন আরও বলেছে, ‘সংবিধান সংস্কারে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ও এই সংস্কারকে সুরক্ষিত করার জন্য আমরা আগামী নির্বাচনকে “সংবিধান সংস্কার পরিষদ”-এর নির্বাচন হিসেবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে এ বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা আসেনি।’
আরও পড়ুনসংসদ নির্বাচন আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন: প্রধান উপদেষ্টা৩ ঘণ্টা আগেসংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বন্দর বিদেশিদের দেওয়ার ব্যাপারে নানা মহলের প্রশ্ন ও সমালোচনা আছে। কিন্তু সেটাকে অপপ্রচার বলে ‘প্রতিহত’ করার জন্য যে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সেটা তাঁর কাছ থেকে কাম্য নয়। সরকারের বরং এই ইস্যু নিয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।