বিশ্বকাপের টিকিট আগেই নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। তবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিকে গুরুত্ব দিয়েছিল প্রস্তুতি ও দলের ছন্দ ঠিক রাখার মঞ্চ হিসেবে। যদিও জয়ের দেখা মেলেনি, তবে পিছিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আলবিসেলেস্তেরা।

ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। বিশেষ করে থিয়াগো আলমাদার প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি। আলমাদার দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফিরেছিল আর্জেন্টিনা। স্কালোনি বলেন, ‘ওর (আলমাদা) সবচেয়ে বড় শক্তি হলো দায়িত্ববোধ ও বল চাওয়ার সাহস। আজ সে অসাধারণ খেলেছে। ওর মতো খেলোয়াড় দলে থাকলে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।’

পুরো দলের লড়াইয়ের মনোভাব নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি, ‘এই দলের সবচেয়ে বড় গুণ হলো হাল না ছাড়া মানসিকতা। প্রতিপক্ষ কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেও আমরা দমে যাইনি। বল দখলের জন্য লড়াইসহ সব জায়গায় ছেলেরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে’

এদিকে ম্যাচ শেষে প্রশ্ন উঠেছে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় মেসিকে তুলে নেওয়া প্রসঙ্গেও। কারণ সাধারণত মেসি পুরো ম্যাচ খেলে থাকেন। এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্কালোনি বলেন, ‘মেসিকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল না। যখন দেখল আমরা দু’টি পরিবর্তন আনছি, তখন নিজেই এসে বলল তাকে তুলে নেওয়াই ভালো হবে। আমি তাই তাকে বদলি করি। না হলে আমি তাকে তুলতাম না। আপনি জানেন, আমি ওকে কীভাবে দেখি।’

তবে বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরের আগে এমন ম্যাচগুলোকে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখছেন আর্জেন্টিনার কোচ, ‘আজকের ম্যাচটা দেখাল, বড় ম্যাচে দল প্রস্তুত আছে’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।

জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’

কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ