বিশ্বকাপে জায়গা করে গাড়ি উপহার পেলেন উজবেকিস্তানের সব খেলোয়াড়
Published: 11th, June 2025 GMT
আবুধাবিতে ৫ জুন রাতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে উজবেকিস্তান। প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়া যেকোনো দলের জন্যই বিশেষ কিছু। কিন্তু এমন কিছুর উদ্যাপন বিদেশের মাটিতে কি আর সেভাবে জমে!
ফলে উজবেক খেলোয়াড়দের অপেক্ষা ছিল ঘরের মাঠে দেশের মানুষদের সঙ্গে এই অর্জনকে ভাগ করে নেওয়ার। দেশটির জনগণও অপেক্ষায় ছিল খেলোয়াড়দের রাজকীয়ভাবে বরণ করে নেওয়ার। গতকাল রাতে রাজধানী তাশখন্দের মিল্লি স্টেডিয়য়ামে কাতারকে ৩–০ গোলে হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেই উদ্যাপনই সেরেছে উজবেকরা।
উদ্যাপনের বিশেষ এই মুহূর্তে দারুণ এক উপহারও পেয়েছেন উজবেক খেলোয়াড়রা। উজবেকিস্তানকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে নিয়ে যাওয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিওয়েভ পূর্বঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক খেলোয়াড়কে উপহার দিয়েছেন একটি করে নতুন কার।
আরও পড়ুনপ্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান–জর্ডান, আরও যারা বিশ্বকাপের টিকিট পেল০৬ জুন ২০২৫এমনকি উপহার দেওয়া সেই গাড়িগুলো গতকাল মাঠে এনে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়েও রাখা হয়। এর আগে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করার পরই চীনের শীর্ষস্থানীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডির নির্মিত চ্যাম্পিয়ন কার উপহার দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট শাভকাত। আর গতকাল বুঝিয়ে দেওয়া হয় প্রতিশ্রুত সেই গাড়িগুলো।
উজবেকিস্তানের খেলোয়াড়দের উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উজব ক স ত ন ব শ বক প র প রথমব র উপহ র
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন