জেলের জালে বিরল প্রজাতির ৪ টিয়া মাছ
Published: 12th, June 2025 GMT
পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে আবু সালেক (৪০) নামে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ৪টি টিয়া বা প্যারট মাছ।
বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তে তিনি নিয়ে আসেন। এর আগে গতকাল বুধবার কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় মাছগুলো ধরা পড়ে।
আবু সালেক চট্টগ্রামের বাঁশখালি থেকে আল্লাহর দোয়া-৪ নামে একটি ট্রলার নিয়ে ১৭ জেলেসহ সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি ৪টি টিয়ামাছ ধরেন। মাছের ওজন ৫ কেজি। ৫শ’ টাকা কেজি দরে মাছগুলো তিনি বিক্রি করেন।
স্থানীয়ভাবে মাছগুলোকে ‘টিয়া’ বলা হলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম স্কারাস জুফার। সবসময় এই মাছ ধরা পড়ে না। ফলে মাছগুলো নিয়ে আসার পর দেখার জন্য আড়তে ভিড় করে উৎসুক জনতা।
আবু সালেক বলেন, ‘‘ইলিশ এবং পোয়াসহ অন্যান্য মাছের সঙ্গে টিয়া মাছগুলো ধরা পড়েছে। এর আগে এ মাছ আমাদের জালে কখনো ধরা পরেনি। মাছগুলো পোয়া মাছের সঙ্গে নিলামে বিক্রি করেছি। কিনেছেন আব্দুল্লাহ। তিনি মাছগুলো আরো বেশি দামে বিক্রির জন্য চট্টগ্রামে পাঠাবেন।’’
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘‘মাছগুলো বাংলাদেশে দেখা যায় না। স্কারাস জুফার, যা প্যারট ফিশ নামে পরিচিত। এটি স্কারিডে পরিবারের সামুদ্রিক রশ্মি-পাখাযুক্ত মাছ। এ মাছ ওমানের মধ্য থেকে দক্ষিণ উপকূলীয় জলসীমায় পাওয়া যায়। জুফার প্রথম ১৯৯৫ সালে শনাক্ত করা হয়। এ প্রজাতির মাছ নীল-সবুজ রঙের এবং ৫২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।’’
ইমরান//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করবেন মির্জা আব্বাস
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা প্রকাশ করেন।
আরো পড়ুন:
যে আসন থেকে লড়বেন তারেক রহমান
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া
এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভ্যাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচন প্রায় ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দিনাজপুর-৩ থেকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন থেকেও লড়বেন তিনি।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ