পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে আবু সালেক (৪০) নামে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ৪টি টিয়া বা প্যারট মাছ। 

বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তে তিনি নিয়ে আসেন। এর আগে গতকাল বুধবার কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় মাছগুলো ধরা পড়ে। 

আবু সালেক চট্টগ্রামের বাঁশখালি থেকে আল্লাহর দোয়া-৪ নামে একটি ট্রলার নিয়ে ১৭ জেলেসহ সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি ৪টি টিয়ামাছ ধরেন। মাছের ওজন ৫ কেজি। ৫শ’ টাকা কেজি দরে মাছগুলো তিনি বিক্রি করেন।  

স্থানীয়ভাবে মাছগুলোকে ‘টিয়া’ বলা হলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম স্কারাস জুফার। সবসময় এই মাছ ধরা পড়ে না। ফলে মাছগুলো নিয়ে আসার পর দেখার জন্য আড়তে ভিড় করে উৎসুক জনতা। 

আবু সালেক বলেন, ‘‘ইলিশ এবং পোয়াসহ অন্যান্য মাছের সঙ্গে টিয়া মাছগুলো ধরা পড়েছে। এর আগে এ মাছ আমাদের জালে কখনো ধরা পরেনি। মাছগুলো পোয়া মাছের সঙ্গে নিলামে বিক্রি করেছি। কিনেছেন আব্দুল্লাহ। তিনি মাছগুলো আরো বেশি দামে বিক্রির জন্য চট্টগ্রামে পাঠাবেন।’’

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘‘মাছগুলো বাংলাদেশে দেখা যায় না। স্কারাস জুফার, যা প্যারট ফিশ নামে পরিচিত। এটি স্কারিডে পরিবারের সামুদ্রিক রশ্মি-পাখাযুক্ত মাছ। এ মাছ ওমানের মধ্য থেকে দক্ষিণ উপকূলীয় জলসীমায় পাওয়া যায়। জুফার প্রথম ১৯৯৫ সালে শনাক্ত করা হয়। এ প্রজাতির মাছ নীল-সবুজ রঙের এবং ৫২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।’’

ইমরান//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ