পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই শক্তিশালী দল ইংল্যান্ড ও ভারত। সিরিজ শুরুর আগেই চমক জাগালেন ইংল্যান্ডের কোচ ও নির্বাচকরা। হেডিংলিতে প্রথম টেস্টের জন্য ৪৮ ঘণ্টা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে ইংল্যান্ডের চূড়ান্ত একাদশ। যেখানে রয়েছে ব্যাটিং অভিজ্ঞতার সঙ্গে পেস-স্পিনের ভারসাম্যপূর্ণ সমন্বয়।

ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের গোড়াপত্তন করবেন পুরোনো জুটি জ্যাক ক্রাউলি ও বেন ডাকেট। সাম্প্রতিক সময়ে এ জুটির ধারাবাহিকতা না থাকলেও তাদের প্রতি আস্থাই এবার ইংলিশ টিম ম্যানেজমেন্টের স্পষ্ট বার্তা।

চলতি বছর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জ্যাকব বেথেলকে অবাক করে বাদ দিয়ে তিন নম্বরে ফেরানো হয়েছে ওলি পোপকে। যদিও গত এক বছরে পোপের পারফরম্যান্স ছিল ওঠানামার মধ্যে। তবে নির্বাচকদের কাছে তার অভিজ্ঞতাই শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেছে।

আরো পড়ুন:

ইংল্যান্ড সফরে ভারতের টেস্ট দলে রানা

বড় হারে ইংল্যান্ড হোয়াইটওয়াশ

চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকছেন যথাক্রমে জো রুট, হ্যারি ব্রুক ও অধিনায়ক বেন স্টোকস। শক্তিশালী এই মিডল অর্ডার যে কোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। উইকেটের পেছনে থাকবেন নতুন মুখ জেমি স্মিথ। ব্যাটসম্যান হিসেবেও কম কার্যকর নন তিনি।

চারজন বিশেষজ্ঞ বোলারের মধ্যে একমাত্র স্পিনার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন তরুণ লেগস্পিনার শোয়েব বশির। পেস বিভাগে থাকছেন অভিজ্ঞ ক্রিস ওকস, গতিময় জশ টাং এবং ব্রেয়ডন কার্স। পঞ্চম বোলারের ভূমিকা পালন করবেন অধিনায়ক বেন স্টোকস নিজেই।

এই ম্যাচে খেলছেন না মার্ক উড, গাস অ্যাটকিনসন ও জোফরা আর্চার। ইনজুরির কারণে নেই এই তিন গতিময় পেসার। ফলে পেস ইউনিটে নতুনদের উপরই ভরসা করতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে।

শুক্রবার লিডসের হেডিংলিতে মাঠে গড়াবে এই বহুল প্রতীক্ষিত লড়াই। ভারতের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে শুরুটা কেমন হয় ইংল্যান্ডের সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। 

ইংল্যান্ড একাদশ:
জ্যাক ক্রাউলি, বেন ডাকেট, ওলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), ক্রিস ওকস, ব্রেয়ডন কার্স, জশ টাং ও শোয়েব বশির।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মামদানির উত্থান থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন ইউরোপের বামপন্থীরা

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির উত্থান ইউরোপের বামপন্থী রাজনীতিকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে আগামী বছর স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউরোপের নেতারা চোখ রাখছেন মামদানির ওপর।

মামদানির নির্বাচনী প্রচার দেখতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দলীয় কৌশলবিদেরা আগেই আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্কে এসেছেন। তাঁদের লক্ষ্য, মামদানিকে কাছ থেকে দেখে তাঁর রাজনীতির কৌশল শেখা। কারণ, মামদানি একেবারে সাধারণ অবস্থান থেকে উঠে এসে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহরের নেতৃত্বের দৌড়ে শীর্ষে পৌঁছেছেন। ইউরোপের রাজনীতিকেরা শিখতে চান, মামদানির তৃণমূলভিত্তিক প্রচারণা নিউইয়র্কে যেমন সফল হয়েছে, সেটি তাঁদের অঞ্চলেও কার্যকর হবে কি না।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বামপন্থীদের জোট দ্য লেফট গ্রুপের ফরাসি সহসভাপতি মানোঁ ওব্রি গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে মামদানির প্রচারে অংশ নেন। ওব্রি ও তাঁর দল ফ্রান্স আনবাউড মামদানিকে পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। তাঁরা মামদানির মডেল অনুসরণ করে ফ্রান্সজুড়ে ২০২৬ সালের পৌরসভা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে চান।

জার্মানির পুঁজিবাদবিরোধী দল দ্য লেফট নিউইয়র্কে চার কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছে। তাঁরা মামদানির প্রচারকৌশলের প্রধান মরিস ক্যাটজসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দলটির সংসদীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক লিজা ফ্লাউম বলেন, মামদানির মতো কৌশল অনুসরণ করে অতীতে তাঁদের দল ভালো করেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়টি তাঁদের কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল। এর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে দরজায় দরজায় গিয়ে প্রচারের কৌশল নিয়েছিল তাঁদের দল। ফ্লাউম আশা করেন, বার্লিনে আগামী সেপ্টেম্বরের আইনসভা নির্বাচনে দ্য লেফট মামদানির বর্তমান প্রচারণাকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করবে।

এদিকে মেয়র নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকা মামদানি বিদেশে তাঁর প্রচারকৌশল নিয়ে মাতামাতির বিষয়টিকে এখন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে মামদানি বলেন, আপাতত তাঁর মনোযোগ পুরোপুরি স্থানীয় রাজনীতিতে।

ফ্রান্স ও জার্মানির মতোই যুক্তরাজ্যের রাজনীতিকেরা মামদানির প্রচারকৌশল দেখে মুগ্ধ। মামদানির ছোট ছোট ভিডিওতে ব্যক্তিত্ব ও আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রার খরচের বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আবার তাঁকে একই সঙ্গে আপনজন হিসেবেও উপস্থাপন করা হয়েছে।

আরও পড়ুননিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি৭ ঘণ্টা আগে

ফ্রান্স আনবাউডের সংসদ সদস্য দানিয়েল ওবোনো বলেন, ‘মামদানির দলীয় নির্বাচনে জয়টাই একটা বড় রাজনৈতিক ঘটনা। শুধু তিনি কী নিয়ে লড়েছেন, তা–ই নয়, বরং কীভাবে লড়েছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর যোগাযোগের কৌশল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারসহ অনেক কিছুই আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’

যুক্তরাজ্যের গ্রিন পার্টির নেতা মোথিন আলি বলেন, বামপন্থীদের এখন শেখা দরকার, কীভাবে মামদানির মতো করে সংক্ষিপ্ত অথচ প্রভাবশালী বার্তা পৌঁছে দিতে হয়। যুক্তরাজ্যের সাবেক লেবার নেতা এবং বর্তমানে ইয়োর পার্টির নেতৃত্বে থাকা জেরেমি করবিনও এক এক্স পোস্টে মামদানির প্রচারে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুননিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন৯ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ