চতুর্থ দিনের উইকেট নিয়ে যে ধারণা দিলেন টেইট
Published: 19th, June 2025 GMT
গলের উইকেট ব্যাটিং বান্ধব। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানিয়েছিলেন, গলে দুই-তিনদিন উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো থাকে। অনেক রান হয়। তার কথা মতো, গল টেস্টে প্রথম দু’দিন ব্যাটিং করে ৪৯৫ রান তোলে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় দিন আরও দাপুটে ব্যাটিং করেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ৪ উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছে ৩৬৮ রান।
শান্ত ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, চতুর্থ দিন থেকে গলে স্পিন ধরে। শেষ দিকে স্পিন সামলানো চ্যালেঞ্জিং হয়। চতুর্থ দিনের উইকেট কেমন হবে পারে তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ওই ধারণা দিয়েছেন বাংলাদেশের নতুন পেস বোলিং কোচ শন টেইট।
তিনি জানিয়েছেন, এখনো উইকেটে তেমন কোন পরিবর্তন চোখে পড়েনি, ‘এটা খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট। পেস বোলারদের জন্য কঠিন কন্ডিশন। তারা খুবই চেষ্টা করেছে। প্রথম নতুন বলে শুরুটা ভালো হতে পারতো। যেটা আমরা মিস করেছি। উইকেট একই রকম আছে। এখনো তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি।’
তবে চতুর্থ দিনে স্পিন বল আরেকটু ধরতে পারে এই আশা করছেন সাবেক অজি পেসার টেইট, ‘তৃতীয় দিন উইকেট যতটা ভাবা হয়েছিল ততটা ভাঙেনি। বল আজ কিছুটা টার্ন করেছে। তা বলার মতো নয়। এখনো দু’দিন বাকি আছে। টেস্টে যা কিছু ঘটতে পারে। টেস্ট ক্রিকেট খুব দ্রুত বদলে যায়। সেজন্য কঠোর পরিশ্রম ধরে রাখতে হবে।’
প্রথম ইনিংসে ১৬ ওভারে ৮০ রান দেওয়া নাহিদ রানার হয়ে ঢালও ধরেছেন নতুন টাইগার পেস বোলিং কোচ, ‘এমন গতিতে যে বল করতে পারে, তার মাঝে মধ্যেই নতুন বল হাতে নেওয়া উচিত। জানি না, সামনে নতুন বল কে নেবে। তবে এটা নাহিদের নেওয়া উচিত। তার দিকে সকলের অনেক মনোযোগ এবং প্রত্যাশার চাপও আছে। ওই চাপ সামাল দেওয়াও আমার দায়িত্ব।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সূর্য কি সত্যিই জেগে উঠছে
সৌরজগতে উষ্ণতা থেকে শুরু করে ভর আর সব গ্রহের কক্ষপথের স্থিতিশীলতা দিচ্ছে সূর্য। আমাদের পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় অবস্থা তৈরির জন্য সূর্যের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। তবে নাসার বিজ্ঞানীদের ধারণা, শক্তিশালী সূর্য জেগে উঠেছে। আমাদের সূর্য অপ্রত্যাশিতভাবে তার কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। এতে আরও তীব্র সৌরঝড় দেখা দিতে পারে। সৌরঝড়ের কারণে নানা ভাবে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যাহত হয়।
নাসার তথ্যমতে, আমাদের সৌরজগতের মধ্যমণি সূর্য প্রায় ২০ বছর ধরে শান্ত ও দুর্বল অবস্থায় ছিল। ২০০৮ সালে সূর্যের প্রকৃতিতে আশ্চর্যজনকভাবে পরিবর্তন আসে। বিজ্ঞানীরা সেই পরিবর্তনের কারণে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে সূর্যের সৌরবায়ু বা চার্জ হওয়া কণার স্রোতের গতি, ঘনত্ব, তাপমাত্রা ও চৌম্বক ক্ষেত্রের শক্তি বাড়ছে। এতে শক্তিশালী সৌরঝড় তৈরির সুযোগ বাড়ছে। এসব ঝড় নিয়মিতভাবে পৃথিবীতে আঘাত করে। ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের কারণে পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঝড় উপগ্রহের স্বাভাবিক কাজে হস্তক্ষেপ করে বলে জিপিএসের মতো যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হয়।
সৌরঝড় কখন তৈরি হবে, তার সঠিক সময় ও ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ২০২৫ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে সূর্যের বর্তমান ১১ বছরের চক্র সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে ঝড় আরও ঘন ঘন হতে পারে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির প্রধান গবেষণা লেখক জেমি জ্যাসিনস্কি বলেন, সূর্য ধীরে ধীরে জেগে উঠছে। সৌর কণার বর্ধিত সংস্পর্শ মহাকাশচারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এ সপ্তাহে একটি শক্তিশালী ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের কারণে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবায় ব্যাপক সমস্যা দেখা যায়।
অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, সৌর কার্যকলাপের বৃদ্ধি দীর্ঘ ২২ বছরের চক্রের অংশ হতে পারে। সূর্য এখন তার রহস্যময় দুই দশকের শান্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সাল থেকে সৌরবায়ুর গতি ৬ শতাংশ ও ঘনত্ব ২৬ শতাংশ বেড়েছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল