নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে গল টেস্টে বাংলাদেশের প্রথশ ইনিংসে করা ৪৯৫ রানের শক্ত জবাব দিচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় ডাবল সেঞ্চুরির পথে থাকা পাথুম নিশাঙ্কাকে হারিয়ে লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন সকালে আরও দুই উইকেট নিল বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কা ১০৭ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০৩ রান করেছে। বাংলাদেশের চেয়ে ৯২ রানে পিছিয়ে আছে। ক্রিজে থাকা কামিন্দু মেন্ডিস ৫৭ রান করেছেন। তার সঙ্গী পেসার মিলান প্রিয়ানাথ।
কামিন্দু-ধনাঞ্জয়ার জুটি ভাঙলেন নাঈম: পাথুম নিশাঙ্কা আউট হওয়ার পর নির্ভার ব্যাটিং করে তৃতীয় দেন শেষ করেন কামিন্দু মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। কামিন্দু ৩৭ ও ডি সিলভা ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ দিন সকালে লঙ্কান অধিনায়ককে তুলে নেন নাঈম হাসান। তিনি ২ রান যোগ করতে পারেন। পরেই হাসান মাহমুদ কুশল মেন্ডিসকে আউট করেন। তিনি ৫ রান করেন।
নিশাঙ্কার ডাবলের স্বপ্ন ভঙ্গ: লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেঙেছেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। সাজঘরে ফেরার আগে নিশাঙ্কা দাপুটে ব্যাটিং করেছেন। তিনি ২৫৬ বলে ১৮৭ রান করে বোল্ড হন। ২৩ চার ও এক ছক্কায় ইনিংস সাজান। ৭৩.
মুমিনুলের শিকার ম্যাথুস: ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলছেন অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস। বিশ্বকাপে তাকে টাইমড আউট করেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাথুসকে গার্ড অব অনার দেয় টাইগাররা। ক্রিজে এসে ৬৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৯ রান করে মুমিনুলের বলে আউট হয়েছেন তিনি।
চান্দিমালকে ফেরালেন নাঈম: নিশাঙ্কা ও চান্দিমাল ১৫৭ রানের জুটি গড়েন। ওই জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। ১১৯ বলে চারটি চারের শটে ৫৪ রান করেন লঙ্কান এই ব্যাটার। দলের হয়ে প্রথম উইকেটটি নেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিনি ওপেনার লাহিরু উদারাকে ২৯ রানে আউট করেন।
পাঁচশ’ হলো না বাংলাদেশের: গল টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৯ উইকেটে ৪৮৯ রান নিয়ে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন সকালেই ইনিংস ঘোষণার সম্ভাবনা ছিল। তবে ব্যাটিংয়ে নামেন পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। তারা মাত্র ৩.৪ ওভার টিকতে পারেন, যোগ করেন ৬ রান। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ৪৯৫ রানে বড় অবদান মুশফিকুর রহিম, নাজমুল শান্ত ও লিটন দাসের। এর মধ্যে মুশফিক ৩৫০ বল খেলে ১৬৩ রান করেন। শান্ত ১৪৮ রান করে ফিরে যান। সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়তে হয় লিটন দাসকে (৯০)। প্রথম ইনিংসে লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দো ৪টি এবং মিলান রত্নায়েকে ৩ উইকেট নেন। স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েনে নেন ৩ উইকেট।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গল ট স ট র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?
মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন
তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।
২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।
মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।
উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”
বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।
ঢাকা/রাহাত/মেহেদী