খুব ভালো হতো শিরোনামের প্রশ্নটা সরাসরি নাজমুল হোসেনকেই করা গেলে। সে উপায় আপাতত নেই। সিরিজের মাঝখানে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন ছাড়া ক্রিকেটারদের গণমাধ্যমে কথা বলা বারণ। তার ওপর নাজমুল নিজেই তো টেস্ট দলের অধিনায়ক!

শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর তিনি আর টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দেবেন কি না, সেটা অবশ্য একটা প্রশ্ন এবং সে প্রশ্ন হঠাৎই সামনে আসেনি। শ্রীলঙ্কায় আসার আগমুহূর্তে যখন বিসিবি আকস্মিক নাজমুলকে সরিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে ওয়ানডের নেতৃত্বে আনল, তখন থেকেই আলোচনাটা চলছে।

আরও পড়ুনচোটে ছিটকে গেলেন লঙ্কান পেসার, ম্যাথুসের জায়গায় কে১৪ ঘণ্টা আগে

নাজমুল তখনই বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে জানিয়েছিলেন, ওয়ানডে অধিনায়কত্বে না রাখলে তিনি আর টেস্ট অধিনায়কও থাকতে চান না। কারণ, তিনি মনে করেন, এক ড্রেসিংরুমে তিন অধিনায়কের উপস্থিতি বাংলাদেশের ক্রিকেটে নানাভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর নেতৃত্বকে পুরোপুরি বিদায় বলতে পারেন, দিয়েছিলেন সে আভাসও।

প্রশ্নটাও তখন থেকে—এই সিরিজের পর নাজমুল কি সত্যিই টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন? যদিও এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসাটা এখনই সময়ের দাবি নয়। কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া কলম্বো টেস্টের পর বাংলাদেশ দল আবার টেস্ট খেলবে নভেম্বর-ডিসেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে। মাঝে সবই ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি। তার মানে টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার আগে চিন্তাভাবনার জন্য হাতে প্রায় পাঁচ মাসের মতো সময় আছে।

মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।

জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’

কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ