কেরানীগঞ্জের বেগুনবাড়িতে টিস্যু কারখানায় আগুন
Published: 28th, June 2025 GMT
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বেগুনবাড়িতে টিস্যু কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটেছে।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে কারাখানার ভেতরে থাকা মেশিনপত্র, শপিং ব্যাগ, অফিস, কম্পিউটার আগুনে পুড়ে যায়। ভূপাতিত হয় কারখানার পুরো সেট।
কারখানাটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল না বলে জানিয়েছেন কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার কাজল মিয়া।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। মালিক পক্ষের দাবি আগুনে ফোম কারখানার প্রায় ৩৫-৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জনবসতি এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ টিস্যু কারখানাটি বিপজ্জনকভাবে টিস্যু উৎপাদন করে আসছিল। এলাকাবাসী বারবার প্রতিবাদ করলেও মালিক পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় কারখানা সরানো যায়নি।
আজ (শনিবার) সকালে হঠাৎ কারখানায় ধোঁয়া দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। কারখানাটি তালাবদ্ধ থাকায় এলাকাবাসী আগুন নেভাতে পারেনি। পরে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটিসহ মোট তিনটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সময়মত না এলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত বলে দাবি এলাকাবাসীর।
কারখানার মালিক মো.
কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার কাজল মিয়া বলেন, ‘‘আমরা ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’’
ঢাকা/শিপন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?
মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন
তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।
২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।
মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।
উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”
বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।
ঢাকা/রাহাত/মেহেদী