শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) পবিত্র আশুরা ও মহররম মাস উপলক্ষে ছাত্রদের জন্য সম্মিলিত সেহরি ও নৈশ ইবাদতের আয়োজন করেছে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।

শনিবার (৫ জুলাই) রাতে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের প্রথম দিনে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। রবিবার (৬ জুলাই) ভোর রাতে তারা সম্মিলিত সেহরির আয়োজন করে। সোমবার (৭ জুলাই) আশুরার দ্বিতীয় রোজার সেহরির মাধ্যমে তাদের এ আয়োজন শেষ হবে।

রবিবার ভোর রাতে সেহরির পূর্বে শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। এরপর নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের ডাইনিংয়ে শুরু হয় সেহরির আয়োজন।

আরো পড়ুন:

৭৩ বছরে রাবি: গবেষণা-উচ্চশিক্ষাসহ চাকরি ক্ষেত্রে গৌরবময় যাত্রা

জবিতে বিপণন শিক্ষার ১৮ বছর উদযাপন

এতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, এমন আয়োজন তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ধর্মীয় অনুভূতিকে জাগ্রত করেছে।

শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান বলেন, “এমন আয়োজন আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে এবং দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা বাড়ায়।”

আরেকজন শিক্ষার্থী পারভেজ আহমেদ বলেন, “সারারাত ইবাদত করে একসঙ্গে সেহরি করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। এমন পরিবেশ আমাদের আরো আন্তরিকভাবে দ্বীনের পথে চলতে উৎসাহিত করে।”

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির সভাপতি মো.

আবুল হাসান বলেন, “আশুরা মুসলিম উম্মাহর জন্য আত্মত্যাগ ও ক্ষমার প্রতীক। শিক্ষার্থীরা যেন এই সময়কে আত্মশুদ্ধির সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “এই আয়োজন শুধুই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি ভ্রাতৃত্ব, সংহতি এবং সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক।”

দীর্ঘ ১৬ বছর পর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য গণসেহরির আয়োজন করেছে ছাত্রশিবির। ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ছাত্রদের সেহরি করতে নানা অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।

ঢাকা/মামুন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।

উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”

বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।

ঢাকা/রাহাত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ