চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের জলিল গেট এলাকায় লরিচাপায় শুকলাল দাস (৪০) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল সোয়া নয়টার দিকে শুকলাল দাস রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় দ্রুতগতিতে আসা লরিটি তাঁকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। স্থানীয় বাসিন্দারা লরিসহ চালককে আটক করে। পরে পুলিশের হাতে ওই চালককে তুলে দেন তাঁরা।

আটক হওয়া ওই লরিচালকের নাম মোহাম্মদ রিদোয়ান (২৫)। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জঙ্গল নাপোড়া এলাকার বাসিন্দা। জানতে চাইলে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে লরিচালক তাঁদের হেফাজতে রয়েছেন। এ ছাড়া লরিটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহত শুকলাল দাসের লাশ সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সমকামীতার জেরে রূপগঞ্জে পারভেজকে হত্যা , গ্রেপ্তার ২

রূপগঞ্জে পারভেজ হাসান (৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার ১ দিন পরই রহস্য উৎঘাটন করেছে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ আরমান হোসেন (৩৮) ও মেহেদী হাসান ইমন (২৬) নামের দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। রোববার মধ্যরাতে কুমিল্লার মুরাদনগর ও তারাবো এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, নিহত পারভেজকে সমাকামিতার গোঁপন সম্পর্কের জেরে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরোধের জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে আমলাবোর ভাড়া বাসার ছাঁদে ফেলে যায়। পরে রক্তক্ষরণের মাধ্যমে মারা যায়। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত আরমান হোসেন রূপগঞ্জ উপজেলার বরাবর এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে এবং মেহেদী হাসান ইমন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মুচাগড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। 

নিহত পারভেজ হাসান পাবনা জেলার সদর উপজেলার মৃত মজিদ সরকারের ছেলে। গত ৩ জুলাই ঘটে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে রূপগঞ্জ থানা কার্যালয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিহত পারভেজ হত্যায় জড়িত সন্দেহে  গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান ইমন কুমিল্লা মুরাদনগর থানার একটি ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন, অপর অভিযুক্ত ডাক্তার আরমান হোসেন একটি বেসরকারি কলেজ হাসপাতালের সহযোগি অধ্যাপক।

তদন্তে জানা যায়, উপজেলার আমলাব এলাকায় অবস্থিত গিয়াস উদ্দিন মোল্লার বাড়িতে ভাড়া বসবাস করতেন নিহত পারভেজ হাসান। ওই বাসায় গ্রেফতারকৃত আরমান হোসেন ও মেহেদী হাসান ইমন সহ তার সহকর্মীরা আসা-যাওয়া করতেন। 

এছাড়া পারভেজ হাসানের সমকামী  সঙ্গী হিসেবে প্রায় সময় মেহেদী হাসান ইমন বসবাস করতেন। পাশাপাশি ডাক্তার আরমানেরও সমকামিতার সম্পর্ক ছিলো।  অভিযুক্তদের সমাকামিতা সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। 

এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ৩ জুলাই আমলাবোস্থ গিয়াসউদ্দিন মোল্লার ৫ম তলার ছাঁদে অভিযুক্তরা পারভেজকে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। পরবর্তীতে রক্তাক্ত অবস্থায় রাতভর রক্তক্ষরণে মারা যায়। 

খবর পেয়ে পরের দিন ৪ জুলাই বাসার ছাঁদ থেকে নিহত পারভেজকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে  পুলিশ তদন্তে নামে। পরে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেন। অভিযুক্তদের অধিকতর তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  এ ঘটনার জড়িত আরো কেউ থাকলে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য যে, গত ৩ জুলাই সন্ধ্যায় রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আমলাবো এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পারভেজকে  কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ