অভিযানে গিয়ে মাদক বিক্রেতার কাছ থেকে ‘টাকা নিয়ে আত্মসাৎ’, তিন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
Published: 8th, July 2025 GMT
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বাহাদিপুর এলাকায় অভিযানে গিয়ে এক মাদক বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানায়।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন টাঙ্গাইল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক মো.
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বাহাদিপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে ছালেহা বেগমের বাড়ি থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাঁদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
তদন্ত–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, অভিযানে গিয়ে ছালেহা বেগম নামের এক মাদক বিক্রেতার বাড়ি থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়ে আসেন ওই তিন কর্মকর্তা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত পাওয়ায় তাঁদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ন কর মকর ত বরখ স ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা: চারজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহের ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য সাত আসামি পলাতক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাজবাড়ীর নিমতলা এলাকার আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়ার আক্কাস আলী ও ফরিদপুরের ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুরের শোভারামপুর গ্রামের শাহীন, গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খাঁ ও যশোরের শেখহাটি খাঁপাড়ার মনির হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখে আরোহীরা পালিয়ে যান। এ সময় দেখা যায় মোটরসাইকেলটি ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন মিরাজুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই দিন সন্ধ্যায় মিরাজুল ইসলাম ইফতার করে প্রয়োজনীয় কাগজ, নিজের নামে ইস্যুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহ শহর থেকে কর্মস্থলে রওনা হন। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের পানিভর্তি ডোবায় মিরাজুল ইসলামের হাত–পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে পুলিশ। এজাহারে বলা হয়, মিরাজুল ইসলামের কাছে থাকা অস্ত্র ও মালামাল ছিনিয়ে নিতে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।