টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বাহাদিপুর এলাকায় অভিযানে গিয়ে এক মাদক বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানায়।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন টাঙ্গাইল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক মো.

সিরাজুল ইসলাম, উপপরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী উপপরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বাহাদিপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে ছালেহা বেগমের বাড়ি থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাঁদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

তদন্ত–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, অভিযানে গিয়ে ছালেহা বেগম নামের এক মাদক বিক্রেতার বাড়ি থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়ে আসেন ওই তিন কর্মকর্তা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত পাওয়ায় তাঁদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ন কর মকর ত বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।

তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’

ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।

দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান