টানা ২১ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে সংসদ সদস্য জাফর
Published: 8th, July 2025 GMT
টানা ২১ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমকে। কক্সবাজারের পেকুয়া থানার তিনটি মামলায় রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার সকালে দিকে তাঁকে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবিরের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে নিযুক্ত রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) গোলাম সরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, জাফর আলমকে গত ১৮ জুন চকরিয়া থানার পাঁচটি মামলায় ১৪ দিন এবং পরে পেকুয়া থানার তিনটি মামলায় ৭ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মোট ২১ দিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ আজ জাফর আলমকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাঁকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
চকরিয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় জাফর আলমকে আদালতে আনা হয়। আদালত তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২৭ এপ্রিল ডিবি পুলিশ ঢাকার ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন অংশ নিয়ে হেরে যান। জাফর আলম ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ২০১৪ সালে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চকর য়
এছাড়াও পড়ুন:
সারজিসের বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননার আবেদনের ওপর আদেশ ২০ জুলাই
ফেসবুকে উচ্চ আদালত সম্পর্কে দেওয়া স্ট্যাটাস ঘিরে আদালত অবমাননার অভিযোগে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে করা আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ২০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট আজ সোমবার আদেশের এ দিন ধার্য করেন। সারজিস জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক।
এর আগে ফেসবুকে উচ্চ আদালত সম্পর্কে দেওয়া স্ট্যাটাস ‘মর্যাদাহানিকর’ ও ‘অবমাননাকর’ উল্লেখ করে সারজিস আলমকে গত ২৪ মে নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন। নোটিশের জবাব পেয়ে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে গত ২৮ মে ওই আইনজীবী আদালত অবমাননার আবেদনটি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন নিজেই শুনানি করেন। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশের জন্য ২০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।
ওই আইনজীবীর গত ২৪ মে পাঠানো নোটিশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে সারজিস আলমকে স্ট্যাটাসের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ জানানো হয়।
নোটিশে উল্লেখিত তথ্য অনুসারে, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়-ডিক্রি ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মামুনুর রশিদ। শুনানি শেষে গ্রহণযোগ্য নয় বলে হাইকোর্ট ২২ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন।
নোটিশের ভাষ্য, ‘২২ মে রায় ঘোষণার পর আপনি (সারজিস আলম) ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ১১টা ৪৯ মিনিটের দিকে ওই রায় নিয়ে একটি প্রতিক্রিয়া দেন। এই স্ট্যাটাস গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসে উল্লেখিত মন্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন, যা দেশের উচ্চ আদালত, যথা সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি মর্যাদাহানিকর ও আদালত অবমাননাকর।’