ভোলায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
Published: 10th, July 2025 GMT
ভোলায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে তাঁরই এক প্রতিবেশী ও তার সহযোগী। নারায়ণগঞ্জে এক কিশোরী স্কুল থেকে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অভিযুক্তদের হুমকির মুখে এলাকা ছেড়ে গেছে তার পরিবার।
এদিকে, কুষ্টিয়ায় শিশুকে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার মাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ
ভোলা প্রতিনিধি জানান, ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার ওই নারীকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই গৃহবধূ জানান, মঙ্গলবার রাতে তিনি তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। মধ্যরাতে প্রতিবেশী কামাল মাঝি ও তার এক সহযোগী সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি প্রকাশ করলে ধারণ করা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। স্বামী বাড়ির বাইরে থাকায় সকালে ওই গৃহবধূ তাঁর বাবার বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানান।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.
তবে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র দাবি করে অভিযুক্ত কামালের বাবা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে তাদের বিরোধ আছে। আমার ছেলে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এ সময় মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, হুমকিতে এলাকাছাড়া পরিবার
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নে গত সোমবার অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিশোরীর মা সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের হুমকির মুখে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে পরিবারটি।
অভিযুক্তরা হলেন ওই ইউনিয়নের হাতুরাপাড়ার আব্দুল্লাহ, লাল চান মিয়া ও ফয়েজ ভূঁইয়া। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কিশোরীর মাকে ভয় দেখাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী সাত্তার ও আক্কাস আলীর নেতৃত্বে একটি দল। পরিবারটিকে এক লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করছেন তারা। তবে আক্কাস আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গতকাল ওই স্কুলছাত্রীর ভগ্নিপতি অভিযোগ করেন, তালতলা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করার তিন দিন হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মীমাংসার চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কিছু হলে অবশ্যই তিনি জানতেন। এটি অপপ্রচার।
তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তিনি সকালে (গতকাল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বাদী ও তার পরিবারের কাউকে তিনি পাননি। টাকার বিনিময়ে মীমাংসার বিষয়ে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে জানা নেই।
সোনারগাঁ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআইকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভাবিকে ধর্ষণে দেবর কারাগারে
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি জানান, কুমারখালীর শিলাইদহে দেড় বছরের শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার মাকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই নারীর দেবর নাইম শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভাই বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে গত সোমবার রাতে নাইম তার ভাবির কক্ষে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে। গৃহবধূ স্বামীকে বিষয়টি বললে তিনি মীমাংসার কথা বলেন। পরে গৃহবধূর বাবা মঙ্গলবার কুমারখালী থানায় মামলা করেন। ওই নারীর বাবা বলেন, উপযুক্ত শাস্তির প্রত্যাশায় থানায় মামলা করেছি। এ বিষয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি ওই গৃহবধূর স্বামী ও আসামির বড় ভাই।
৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
শেরপুর প্রতিনিধি জানান, শেরপুরে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার প্রতিবেশী দাদা শমেজ উদ্দিন বইট্টাকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৬ জুলাই অভিযুক্ত শমেজ উদ্দিন শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। শেরপুর সদর থানার ওসি জুবায়দুল আলম বলেন, হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন পর ব র র কর ছ স ন রগ ওই ন র তদন ত গতক ল গ হবধ
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১
সাভারে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দেলোয়ার (৩৫) নামে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১ নভেম্বর) সকালে সাভার মডেল থানার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম সবুজ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার দেলোয়ার একই এলাকার বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা
১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী তরুণী সঙ্গে দেলোয়ারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হত। তরুণী বিদেশে যাবে বলে ওই যুবককে জানায়। অভিযুক্ত দেলোয়ার তার মায়ের মাধ্যমে তরুণীকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ কথা শুনে দেলোয়ারকে তার মাকে নিয়ে বাসায় আসতে বলেন তরুণী। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে দেলোয়ার তার মা এবং অন্তর নামে এক বন্ধুকে নিয়ে তরুণীর বাসায় যান। আলোচনা শেষে দেলোয়ারের মা তরুণীর বাসা থেকে চলে যান। দেলোয়ার ও তার বন্ধু বাসায় অবস্থান করেন। বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে তারা তরুণীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণী সাভার মডেল থানায় দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
সাভার মডেল থানার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই সাভার মডেল থানায় একটি দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ