শুটিং কার্যক্রম বন্ধের জন্য রাজধানীর তিনটি হাউজ মালিককে চিঠি দিয়েছে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের আবাসিক কল্যাণ সমিতি। শুটিং হাউজ বন্ধের চিঠির খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন নাট্য নির্মাতা, অভিনেতা থেকে বিনোদন অঙ্গনের তারকারা।   

আলোচিত অভিনেতা, সঞ্চালক শাহরিয়ার নাজিম জয় বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে এ অভিনেতা লেখেন, “শুটিং বাড়ি যারা বন্ধ করে দিচ্ছে খুঁজে খুঁজে তাদের বাড়িতে গিয়ে শুটিং করতে হবে। ইরানের মতো দেশ সিনেমা করে অস্কার পায়। আর আমরা এখনো লবিং করে অনুদান নেই এবং জাতীয় পুরস্কার পাই। তাই মানুষও আমাদের ঘৃণা করে।” 

নেটিজেনদের অনেকে জয়ের ভাবনার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। অনেকে দেশের সিনেমা ও ইরানি সিনেমার গুণগত তুলনা করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জয়ের প্লট চাওয়ার বিষয়টি টেনে সমালোচনা করেছেন। 

আরো পড়ুন:

দেশের মাটিতে নয়, নাটকের শুটিং হোক লাস ভেগাসে: শামীম হাসান সরকার

ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়াল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার তোপ

গত ২০ জুলাই, উত্তরার সেক্টর-৪ কল্যাণ সমিতি এই চিঠি ইস্যু করে। সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, শুটিংয়ের কারণে রাস্তায় জনসমাগম, যান চলাচলে বিঘ্ন এবং বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে।   

চিঠিতে হাউজ মালিকদের শুটিং হাউজ হিসেবে বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, আবাসিক এলাকায় এ ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নীতিমালার পরিপন্থী। সেক্টরের পরিবেশ ও সুনাম রক্ষায় হাউজের মালিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করা হয়েছে।  

এরই মধ্যে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ডিরেক্টর গিল্ডের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন—“এভাবে হঠাৎ করে একটি চিঠির মাধ্যমে শুটিং বন্ধ করার নির্দেশনা কোনোভাবেই উচিত নয়।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ