যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 27th, July 2025 GMT
ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
রবিবার (২৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, উপদেষ্টা আজ সকালে ঢাকা ছেড়েছেন। তিন দিনব্যাপী সম্মেলন শেষে আগামী শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তার দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
আরো পড়ুন:
জাতিসংঘের ফিলিস্তিন সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গাজায় কেন ‘দুর্ভিক্ষ’ ঘোষণা করছে না জাতিসংঘ?
ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি ও দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের বাস্তবায়ন নিয়ে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হবে।
ফ্রান্স ও সৌদি আরব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের গৃহীত প্রস্তাব এ/আরইএস/৭৯/৮১-এর আলোকে যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করছে।
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সম্মেলনের আলোচনায় অংশ নিয়ে গাজায় চলমান মানবিক ও রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতি নতুন করে গতি সঞ্চারে সচেষ্ট হবেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার এবং টেকসই দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের প্রশ্নে বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ, এবং নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবনাগুলোর প্রতি নিজের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও সময়সীমা নির্ধারিত রোডম্যাপের পক্ষে মত তুলে ধরবে বলে জানা গেছে।
এই উচ্চপর্যায়ের জাতিসংঘ সম্মেলনকে গাজা শাসনব্যবস্থা নিয়ে ঐকমত্য গঠনে, বাধাহীন মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করতে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোরদারে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বৈশ্বিক প্রয়াস হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক পরিসরে ফিলিস্তিনের ন্যায্য দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং ১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিন স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই প্রথম দিকের স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশগুলোর অন্যতম ছিল।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট পরর ষ ট র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
হামাসকে অস্ত্রত্যাগে ও গাজার শাসন ছাড়তে সৌদি, কাতার, মিসরের আহ্বান
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ বন্ধে এ ভূখণ্ডে হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এবং সংগঠনটিকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে কাতার, সৌদি আরব ও মিসরসহ একাধিক আরব দেশ।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বি–রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রস্তাব পুনরুজ্জীবিত করতে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের উদ্যোগে নিউইয়র্কে সংস্থাটির সদর দপ্তরে একটি সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেখানেই গৃহীত সাত পৃষ্ঠার একটি ঘোষণাপত্রে এ আহ্বান জানানো হয়। ঘোষণাপত্রটিকে সমর্থন করেছে ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ।
ঘোষণায় বলা হয়, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে অবশ্যই তার শাসন (এ উপত্যকায়) শেষ করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। এটি একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।’
ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এ ঘোষণায় স্বাক্ষর করে। এতে যুদ্ধ শেষে গাজায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিদেশি সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়। সম্মেলনে ইসরায়েল ও তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি।আগের দিন, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদল ইসরায়েল ও হামাস উভয়কে গাজা ত্যাগ করার আহ্বান জানায়; যাতে সাগর উপকূলবর্তী এ অঞ্চলটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারে।
আরও পড়ুনগাজায় ত্রাণপ্রত্যাশী ৯৩ জনকে হত্যা ইসরায়েলি বাহিনীর, যুদ্ধের বর্বরতার নিন্দায় পোপ২১ জুলাই ২০২৫ঘোষণায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলারও নিন্দা জানানো হয়। তবে এ বিষয়ে এখনো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা জানায়নি। সম্মেলনের সহআয়োজক ফ্রান্স ঘোষণাপত্রটিকে ‘ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে।
আরও পড়ুনগাজায় হামলার নিন্দা জানালেও ইসরায়েলের সঙ্গে কেন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এসব দেশ১৮ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো বলেন, ‘প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো হামাসের নিন্দা জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি শাসন থেকে তাদের বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ও ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইচ্ছা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে।’
প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো হামাসের নিন্দা জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি শাসন থেকে তাদের বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ও ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইচ্ছা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে।জ্যাঁ-নোয়েল বারো, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এ ঘোষণায় স্বাক্ষর করে। এতে যুদ্ধ শেষে গাজায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিদেশি সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়। সম্মেলনে ইসরায়েল ও তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি।
আরও পড়ুনগাজায় ‘এখনই যুদ্ধ থামাতে’ যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ ২৮ দেশের আহ্বান২২ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনইসরায়েলের স্নাইপাররা এমনভাবে গুলি ছুড়ছিলেন, যেন পশু শিকার করছেন: গাজার বাসিন্দা২১ জুলাই ২০২৫