প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হলে কী বলবেন?
Published: 29th, July 2025 GMT
সব কিছু চাইলেই টিকিয়ে রাখা যায় না। আবার ভেঙ্গে গেলেও শেষ হয়ে যায় না। সামনে আসে-বার বার আসে। আর সামনে আসা মানে হলো একটা সময়কে নিয়ে আসা একটা সত্যের মুখোমুখি হওয়া। এটা আরো কঠিন হয়, যদি সেটা প্রেমের সম্পর্ক হয়।
যাচাই করে দেখেন তো ভুলতে পেরেছেন কি না?
সম্পর্ক চুকে গেছে আরও আগেই কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ এখোনো আছে। বা একটু সময় নিয়ে সাবেক প্রেমিকার নতুন কোনো ছবিতে লাইক দেন। খুঁজে খুঁজে তার নতুন আর পুরোনো ছবি মনোযোগ দিয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। আর সুযোগ পেলে সেটাই করেন। শুধু তাই না কমেন্টও করেন, তাহলে একেবারে ধরে নেন যে তিনি এখনো তোমার মনে পাকাপোক্ত জায়গা করে আছে।
আরো পড়ুন:
ফেসবুকে পরিচয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে তরুণীর প্রেম, থানায় সমাপ্তি
মধুবালার প্রেমে পড়েছিলেন পাকিস্তানের যে প্রেসিডেন্ট
এবার নিজের সংগ্রহে যা কিছু প্রিয় জিনিষ আছে সেগুলো নেড়েচেড়ে দেখেন তো প্রাক্তন প্রেমিকের দেওয়া কিছু প্রিয় জিনিস বা চিঠি, কলম, চুড়ি এখনো সংগ্রহে রেখেছেন কি না? যদি আপনার সংগ্রহে থাকে তাহলে বুঝে নিন এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন পুরোনো প্রেমের স্মৃতি।
সময় গড়িয়েছে অনেক দূর। আপনি হয়তো এখন অতীত আর বর্তমানের মধ্যে স্বচ্ছতা আনতে চাইছেন। হয়তো সম্পর্কটা বেশ তিক্তভাবে শেষ হয়েছিলো তাইবলে আক্রমনাত্মক হবার কিছু নেই। অনেক অনেকদিন পরে যদি দেখা হয় তাহলে স্বাভাবিক স্বরেই জিজ্ঞাসা করতে পারেন 'কেমন আছো'। আর সে যদি বিয়ে করে থাকে তাহলে তোমার স্ত্রী কেমন আছে, বাসার সবাই কেমন আছে এগুলো জানতো চাইতে পারেন। এক কথায় প্রশ্নের কেন্দ্রে সাবেক প্রেমিককে না রেখে তার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কথা বেশি বেশি বলা ভালো। এতে পরিস্থিতি ঘোলাটে হবে না।
আবেগ লুকিয়ে রাখুন
একসময় যাকে কেন্দ্র করে অনেক স্বপ্নের জাল বুনেছেন, তা হতাশায় ছিঁড়ে গেছে। তবে একটা সময় তিনি আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিলেন, এটুকু মনে রেখে স্বাভাবিক আচরণ করতে পারেন।
দ্য ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি'র অধ্যাপক ডক্ট জেসি ফক্স বলছেন, ‘‘সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরেও যারা সাবেক প্রেমিক-প্রেমিকার ওপর নজরদারি চালায়, তারা জীবনে বেশি দুঃখ পায়। এক সমীক্ষার ফলাফল দেখিয়ে তিনি প্রমাণ করেন যে, আপনি আপনার সাবেকের ওপর নজর রাখার কাজে ফেসবুককে ব্যবহার করলেও এতে আখেরে মন খারাপ হয় আপনারই। এতে শুধু আপনার ক্ষতি হয় এমনটা নয়, ক্ষতির প্রভাব পড়ে আপনার আগামী সম্পর্কের ওপরেও।’’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো.
উল্লেখ্য, একটা সম্পর্ক যখন ভেঙ্গে যায়, তখন বাস্তবতা মাথায় রেখে দুজনের মধ্যে কথা বলে নেওয়া ভালো। তাহলে সত্যটা সামনে চলে আসে।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ওপর আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিএলে বিদেশি দল, এনসিএলে বিদেশি ক্রিকেটার
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন আজকের নয়। জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ যে মানের হয়, যেভাবে আয়োজন হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে হরহামেশা। অতীতে সমালোচনার পর কিছুটা মান বেড়েছে। কিন্তু তারপরও ‘আপ টু মার্ক’ হয়নি।
বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে দিব্যি পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা যখন জাতীয় দলে এসে ধুকতে থাকেন তখন তারতম্য প্রকটভাবে ফুটে উঠে। এজন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটারকে নিয়ে আসতে চায় বিসিবি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে যুক্ত করতে চায় বিদেশি দল।
বিসিবির পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
তিন সপ্তাহের জন্য আসছেন উড, মনোবিদ স্কট
সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার বেলায়েত হোসেন মারা গেছেন
বিসিএল শুরু থেকে ছিল ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রতিযোগিতা। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন, প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন, ইসলামী ব্যাংক ইষ্ট জোন ও বিসিবি নর্থ জোন নামে চারটি দল শুরুর কয়েক বছর বিসিএলে অংশ নিয়েছে। পেশাদারিত্বের ঘাটতি, পরিকল্পনার অভাব এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভবান না হওয়ায় তিনটি ফ্রাঞ্চাইজি ধীরে ধীরে সরে যায়। পরবর্তীতে বিসিবি চারটি দলই নিজস্ব খরচে পরিচালনা করে বিসিএল চালু রাখে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীতার অভাব বোঝা যায়।
এজন্য বিসিবি সামনের আসরে বিদেশ থেকে একটি দল নিয়ে আসতে চায়। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। বিসিএল যেই সময়ে আয়োজন করতে চাচ্ছে সেই সময়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। আফগানিস্তানকে চূড়ান্ত করার পথে হাঁটছে। বিসিবির পুরো খরচেই অতিথি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বাকি তিনটি দল গঠন করবে বিসিবি।
আকরাম খান বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথমবারের মতো বিসিএলে একটি বিদেশি দলকে পেতে যাচ্ছি। হয়তো তারা এ দল হিসেবে আসবে। নয়তো অন্য কোনো নামে। এক মাস এই টুর্নামেন্ট চলবে। ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’’
এদিকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটার অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত হবেন, কিভাবে আসবেন, পারিশ্রমিক কত হতে পারে সেসব নিয়ে এখনও কোনো উপায় খুঁজতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে ভালোমানের বিদেশি খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে।
তাদের পারিশ্রমিক চূড়ান্ত করা, পুরো আসরে অ্যাভেইলেভেল থাকবেন কিনা সেসব নিয়েও কাজ হচ্ছে। এজন্য আগেভাগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না আকরাম।
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুই স্তরে জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আট দলে একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার রাখার ইচ্ছা বিসিবির। অতীতে বিদেশি ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়েছে। ইমরান ফরহাদ, আমির ওয়াসিমরা খেলেছেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম শ্রেণির এই টুর্মামেন্টে।
মূলত প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং মান বাড়াতে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে আয়োজকরা। যদিও একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম প্লেয়িং কন্ডিশনে সব সময়ই ছিল, ছিল সর্বশেষ মৌসুমেও। বিভাগীয় দলগুলো আগ্রহ না থাকায় বিসিবিও জোর দেয়নি। তবে এবার বিসিবি বিদেশি ক্রিকেটারকে যুক্ত করবে। পাশাপাশি তাদের পারিশ্রমিক ও সুযোগ সুবিধার বিষয়টিও দেখভাল করবে।
ঢাকা/ইয়াসিন