সকালের চেয়েও যে কারণে জরুরি সন্ধ্যার রুটিন
Published: 16th, September 2025 GMT
যেসব কাজ বন্ধ করতে হবে
রাত ৮টার পর কাজের ই–মেইল চেক করা।
চোখ জ্বালা না করা পর্যন্ত টিভি বা সিনেমা–সিরিজ দেখা।
সামাজিক মাধ্যম স্ক্রল করা।
যা করতে হবেপেশাজীবনের কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট শেষ সময় ঠিক করুন।
সন্ধ্যার রুটিনটা হোক আনন্দদায়ক, কাজগুলো শেষ করুন সহজভাবে।
আগামী দিনের কাজগুলো আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন।
ইচ্ছাশক্তিকে একধরনের পেশি হিসেবে ধরুন। এই পেশি রাতভর মুঠোফোনে স্ক্রল, রাত জেগে খাওয়া বা টিভি দেখার মতো অদরকারি কাজগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যায়। কিন্তু সন্ধ্যার রুটিন ঠিকঠাক মানা মানেই আপনার ইচ্ছাটাকে অটো পাইলটে বসিয়ে দেওয়া। মস্তিষ্ক তখন সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে। ভোরেও উঠতে পারবেন অনায়াসে।
আরও পড়ুনসময়মতো ঘুমালেও মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় কেন?১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫সন্ধ্যায় ৩ ধাপের রুটিনডিজিটাল সানসেটস্মার্টফোন ও অন্যান্য ডিভাইসের নীল আলো বাধা দেয় মেলাটোনিন উৎপাদনে। মেলাটোনিন ভালো ঘুমের জন্য অত্যাবশ্যক। তাই শোবার অন্তত দেড় ঘণ্টা আগে সব ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরত্ব তৈরি করুন।
আগামী দিনের তালিকাআগামী দিনে যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন, সেসব লিখে নিন। শুধু তিনটি। ৫০টি কাজের তালিকা শুধু চাপ বাড়াবে। ছোট, নির্দিষ্ট এবং সুসংগঠিত পরিকল্পনা মানসিক শান্তি দেয়। শোবার এক ঘণ্টা আগেই কাজটি সম্পন্ন করুন।
মেন্টাল শাটডাউনএমন কিছু করুন, যা আপনাকে স্রেফ নির্মল আনন্দ দেবে। এসবের পেছনে থাকবে না কোনো বৈষয়িক লাভ–ক্ষতির হিসাব। যেমন গল্পের বই পড়ুন, স্ট্রেচ করুন বা শুধু দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকুন। এসব কাজ মস্তিষ্ককে শান্ত করে এবং বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত করে। শোবার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে থেকে এসবের চর্চা করুন।
আরও পড়ুনযে কারণে ঘুম থেকে উঠেই কাজে ছুটতে নেই২৪ আগস্ট ২০২৫জাপানি শৈলীর শিথিলতাজাপানিরা দিনের শেষে গরম পানিতে গোসল করেন। সম্ভব হলে মিশিয়ে দেন বাথ সল্ট বা প্রাকৃতিক খনিজ উপকরণ। প্রাকৃতিক খনিজ ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরাইড সরবরাহ করে, যা পেশি শিথিল করতে সহায়তা করে।
গুরুত্বপূর্ণ কথাআপনার সন্ধ্যার রুটিন হতে পারে সাধারণ। এটা অনুসরণ করলে সামাজিক মাধ্যমে লাখ লাখ লাইক হয়তো পাবেন না। কিন্তু বাস্তবে এটি আপনার সকালকে অনেকটাই গুছিয়ে দেবে। শান্তভাবে দিন শুরু করতে পারবেন, যেটা অনেক কাজেই এনে দেবে সফলতা।
সূত্র: মিডিয়াম
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সন ধ য র র ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।