আওয়ামী লীগের সময় মরা মানুষও ভোট দিয়েছে: রুহুল কুদ্দুস তালুকদার
Published: 11th, January 2025 GMT
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার (দুলু) বলেছেন, আওয়ামী লীগের সময় শতভাগ ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয়েছিল। তাদের সময়ে মরা মানুষও ভোট দিয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর যারা এই দেশকে শোষণ করেছে, দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। জামায়াতের আমির তাদের বিরুদ্ধে না বলে তিনি নাটোরে এসে বলেছেন, আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাই করবে। তাঁর এসব কথা সত্য নয়।
শনিবার বিকেলে নাটোর সদর উপজেলায় শংকরভাগ মাঠে বড় হরিশপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কুদ্দুস এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.
জামায়াতের উদ্দেশে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, ‘আপনারা স্বাধীনতার পক্ষে না বিপক্ষে, তা আগে পরিষ্কার করুন। ১৯৭১ সালের ভূমিকার জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া উচিত। জামায়াতের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম নয়, যারা গত সাড়ে ১৫ বছর এ দেশে হত্যা, গুম, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য চালিয়েছে, আমাদের সংগ্রাম তাদের বিরুদ্ধে।’
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সভা–সমাবেশে ইচ্ছেমতো উল্টাপাল্টা বলছে। তারা জানে না, ক্ষমতা এত সহজ নয়, আসলে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের সঙ্গে, দেশের ভোটারদের সঙ্গে দীর্ঘ সুসম্পর্কের প্রয়োজন হয়। জনগণের আস্থার দলে পরিণত হতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে কখনো ক্ষমতায় আসতে না পারা সেই দলটির বাংলাদেশে এমন জনপ্রিয়তাও নেই, তাদের প্রতি এ দেশের মানুষের তেমন কোনো আস্থাও নেই। বিগত কোনো সংসদ নির্বাচনে দেশের প্রাপ্ত ভোটের হারে কখনো তারা দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেনি।’
জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদারের সহধর্মিণী ছাবিনা ইয়াসমিন, জেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম, ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।
ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী