অমরেশ পুরি পর্দায় হাজির হওয়া মানেই একরাশ আতঙ্ক। হিন্দি ছবির খলনায়ক চরিত্র যেন অন্য রূপ পেয়েছিল তাঁর চেহারার ক্রুরতার জন্য। অথচ সেই চেহারার কারণেই ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অমরেশ পুরি সুযোগ পাননি সিনেমায়! আজ ১২ জানুয়ারি অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক অভিনেতা সম্পর্কে কিছু তথ্য।

‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমার শেষ দৃশ্যে পর্দায় মেয়ে কাজলকে নায়ক শাহরুখের হাতে সঁপে দিয়ে অমরেশ পুরির কণ্ঠে সেই সংলাপ আজও কানে লেগে আছে। রুক্ষ স্বর আর বুক কেঁপে ওঠার মতো চেহারা অমরেশ পুরির দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সাফল্যের দুই রসদ। অথচ সেই চেহারা ও কণ্ঠকে একদিন গ্রহণ করেনি বলিউড!

অমরেশের নাতি বর্ধন পুরি প্রথম বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিলেন। তিনি জানান, হিন্দি ছবিতে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তাঁর দাদা। স্বপ্ন পূরণ করতে একটানা চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। ২১ বছর বয়সে জীবনে প্রথম স্ক্রিন টেস্ট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্ক্রিন টেস্ট দেওয়ার আগেই অমরেশের চেহারা ও কণ্ঠস্বরের কারণে বাদ দিয়ে দেওয়া তাঁকে। পরে বেশ কয়েকবার অডিশন দিতে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত হন তিনি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। বলিউডের এক প্রখ্যাত পরিচালক নাকি অমরেশ পুরিকে বলেছিলেন, ‘এমন চেহারা নিয়ে তুমি কখনো নায়ক হতে পারবে না।’

বারবার প্রত্যাখ্যান মানসিকভাবে দুর্বল করে দিলেও হাল ছেড়ে দেননি অমরেশ পুরি। বরং তিনি নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেন, ঠিক যে কারণগুলোর জন্য তিনি স্বপ্নের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না, সেগুলোকেই সফল হওয়ার কারণ বানিয়ে ছাড়বেন।

আরও পড়ুনঅমরেশ পুরি সম্পর্কে এই ৫ তথ্য জানতেন কি২২ জুন ২০২৪

শেষ পর্যন্ত রুপালি পর্দায় নায়ক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর অমরেশ পুরির দুটি চোখ খুঁজে নেয় অন্য লক্ষ্য। বলিউডের চোখে তাঁর দুর্বলতাগুলোকে ধীরে ধীরে নিজের শক্তি বানিয়ে তোলেন। নায়ক হওয়ার বাসনা ছেড়ে, নাম লেখান খলনায়কের খাতায়। তারপর অবশ্য আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। হিন্দি ছবিতে খলনায়কের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিলেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহের পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এ বিশেষ যাতায়াত সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাখা ছাত্রদলের কর্মী নাফিস ইকবাল পিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে এ তথ্য জানিয়ে পোস্ট দেন। একইসঙ্গে শাখা সভাপতি সাগর নাইম ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপুও তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে পরীক্ষার্থীদের এ সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জন ও বিতরণের জায়গা: ইউজিসি চেয়ারম্যান

ছাত্রদল জানিয়েছে, ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাস ছাড়বে। একটি ঢাকা রুটে এবং অপরটি ময়মনসিংহ রুটে যাবে। প্রতিটি বাসে ৫০ জন করে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থী এই ফ্রি সার্ভিসের আওতায় যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই আগাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গুগল ফর্মের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ এই সার্ভিসের সুবিধা নিতে পারবেন না।

শিক্ষার্থীদের জন্য এ উদ্যোগ ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী পোস্ট দিয়ে ছাত্রদলের এ পদক্ষেপকে ‘শিক্ষার্থীবান্ধব ও সময়োপযোগী উদ্যোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

শাখা সভাপতি সাগর নাইম তার পোস্টে বলেন, “প্রতি বছর বিসিএসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের আলো ছড়িয়ে দেন। আমরা চাই এ সুনাম আরো দূরে ছড়িয়ে পড়ুক, আরো উজ্জ্বল হোক। এ ধারাবাহিক সাফল্যের পথে আপনাদের পাশে থাকতে, ভালোবাসা ও সম্মান জানাতে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদল ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে।”

এ বিষয়ে শাখা সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপু বলেন, “জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময়ই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। গত বিসিএসে আমাদের বড় ভাই বিসিএস প্রশাসনে প্রথম হয়েছেন। এটি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, সারা দেশের জন্যই গর্বের বিষয়। সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা এবার পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করেছি।”

তিনি বলেন, “বিশেষ করে অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন, যারা ক্যাম্পাস থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র অনেক দূরে হওয়ায় অংশ নিতে পারেন না। আবার অনেকে যানবাহন না পেয়ে দেরিতে কেন্দ্রে পৌঁছান। আমরা চাইনি কেউ যেন যাতায়াত সমস্যার কারণে বিসিএস পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়েন। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাইয়ের সহায়তায় আমরা এ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি।”

ঢাকা/আবিদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ