বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ
Published: 20th, October 2025 GMT
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকরকর সিদ্দিক।
তিনি জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটের গভর্নর ভাল্ব স্টিম সেন্সরের চারটি টারবাইন নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ১ নম্বর ইউনিটটি গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বন্ধ হয়ে গেছে।
মো.
প্রতিদিন বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটে ৫০ মেগাওয়াট এবং ৩ নম্বর ইউনিট থেকে ১৬০ থেকে ১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সাল থেকেই বন্ধ আছে।
ঢাকা/মোসলেম/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে সার সংকট নিরসনে এনসিপির স্মারকলিপি
দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম কৃষি উৎপাদনকারী ঠাকুরগাঁও জেলায় সার সংকট, সিন্ডিকেট দূরীকরণ ও কৃষকের মাঝে সারের ন্যায্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণে বিশেষ বরাদ্দসহ সাত দফা দাবিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হক সুমনের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা।
আরো পড়ুন:
মেহেরপুরে ২ কোটি টাকার সারের মালিক নিয়ে ধুম্রজাল
সারের দাম বাড়বে না: কৃষি উপদেষ্টা
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ঠাকুরগাঁও জেলার মোট আবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৩ হেক্টর। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকের চাহিদার মাত্র এক-চতুর্থাংশ থেকে দুই-চতুর্থাংশ সার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ফলে কৃষক অতিরিক্ত দামে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
তারা আরো উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে জেলায় টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে এবং ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তাদের ৭ দফা দাবিগুলো হলো, ১. বাৎসরিক চাহিদার আলোকে নির্দিষ্ট মৌসুমে পর্যাপ্ত সার বরাদ্দ ও তার সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করা। ২. সার সরবরাহ ব্যবস্থায় কঠোর তদারকি জোরদার করা। ৩. নির্ধারিত দামে সার বিক্রয় নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি অফিসের তৎপরতা বৃদ্ধি করা। ৪. সার আমদানি, পরিবহন ও গুদামজাতকরণে সিন্ডিকেট ও কালোবাজারি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। ৫. চলতি অর্থবছরের কৃষি বাজেট অনুযায়ী দ্রুত বাস্তবায়ন শুরু করা। ৬. কৃষকের ক্ষতি পূরণে সহায়তা প্রদান ও দীর্ঘমেয়াদি সার নীতি প্রণয়ন করা। ৭. সার ব্যবস্থাপনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয় আরো সুদৃঢ় করা।
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও ঠাকুরগাঁও–৩ আসনের দলের প্রার্থী গোলাম মর্তুজা সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, সার সরবরাহে সিন্ডিকেট যেন বন্ধ হয়, কৃষক যেন নির্ধারিত দামে পর্যাপ্ত সার পায়। ঠাকুরগাঁও কৃষিনির্ভর জেলা, তাই সার সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”
এ সময় এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হিমেল/বকুল