Samakal:
2025-06-16@08:15:34 GMT

শর্ত পূরণে ব্যর্থ অ্যাপল

Published: 12th, January 2025 GMT

শর্ত পূরণে ব্যর্থ অ্যাপল

চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে উন্মোচিত হতে পারে অ্যাপল ব্র্যান্ডের আইফোন সিরিজের ১৭ মডেলের স্মার্টফোন। ইতোমধ্যে নতুন আইফোনে সম্ভাব্য কী ফিচার থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা জমে উঠেছে। ডিজাইন, ব্যাটারি, বাটন, ডিসপ্লে ও স্ক্রিনে পাঁচটি অংশবিশেষ পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। উদ্ভাবনা নিয়ে অ্যাপল কোনো সময়ই নীরবতা ভঙ্গ করে না।
কিন্তু এবারে এশিয়ার দু-একটা দেশ সাফ জানিয়েছে, শর্ত না মানলে আইফোন-১৭ সিরিজের ফোন বিপণনে জারি হবে নিষেধাজ্ঞা। কী সেই 
শর্ত– এমন প্রশ্ন সামনে আসছে। আইফোন বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দেশটির নাম ইন্দোনেশিয়া। 
বলতে গেলে লোকাল ম্যানুফ্যাকচারিং রিকোয়ারমেন্ট নীতিমালা তৈরি করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি। কোনো নির্মাতা সংস্থা দেশটিতে স্মার্টফোন বিপণনে আগ্রহী হলে তাকে অন্তত ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ ওই দেশেই উৎপাদন করতে হবে। কিছুদিন আগে অ্যাপল দেশটিতে প্রায় শতকোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের কাছে বাতাম দ্বীপে এয়ারট্যাগ ট্রাকিং ডিভাইসের কারখানা তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে অ্যাপল। কিন্তু প্রস্তাবে সাফ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া।
আইফোনে নিষেধাজ্ঞার কারণ দর্শানোয় ইন্দোনেশিয়ার শিল্পমন্ত্রী অগস গুমিওয়াং কারটাসাস্মিতা বলেছেন, অ্যাপল 
যদি আইফোন-১৬ বিপণন করতে 
চায়, বিশেষ করে যদি আইফোন-১৭ ইন্দোনেশিয়ায় উন্মোচন করতে চায়, সেই সিদ্ধান্ত তাদের ওপরই নির্ভর করছে।
অ্যাপলকে উদ্দেশ করে দেশটির বিনিয়োগমন্ত্রী রোসান রোসেলানি বলেছেন, ২০২৬ সালে শুরুতে এয়ারট্যাগ ফেসিলিটিতে কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অ্যাপল। কিন্তু প্রস্তাবটি ফোনের ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ তৈরির শর্তকে নীতিগতভাবে সমর্থন করছে না।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভাঙা বেড়িবাঁধ, আমন নিয়ে দুশ্চিন্তায় মাতারবাড়ীর চাষিরা

চলতি মৌসুমে আমন চাষ করার জন্য এক ব্যক্তির এক একর জমি ১৮ হাজার টাকায় ইজারা নেন কক্সবাজারের মহেশখালীর সাগর উপকূলীয় মাতারবাড়ী ইউনিয়নের নয়াপাড়ার কৃষক জাকের হোছাইন। এই মাসের শেষের দিকে আমন চাষ শুরু করার কথা তাঁর। তবে সাগরে বিলীন হওয়া বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে বর্ষায় ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়ার শঙ্কায় আমনের চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কেবল জাকের হোছাইন নন, তাঁর মতো একইভাবে আমনের চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মাতারবাড়ী ইউনিয়নের অন্তত ২০০ চাষি।

কুহেলিয়া নদীর পশ্চিমে আর বঙ্গোপসাগরের পূর্বে জেগে ওঠা প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার চর নিয়ে মহেশখালীর মাতারবাড়ী ইউনিয়ন। এর পশ্চিম পাশে রয়েছে আট কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, যার মধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক দশক ধরে। ওই অংশ দিয়ে আশপাশের লোকালয় ও ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়া ঠেকাতে সর্বশেষ চার বছর আগে বসানো হয়েছিল জিও টিউব। তবে গত ২৯ ও ৩০ মে নিম্নচাপের প্রভাবে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে জিও টিউব বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বেড়িবাঁধের ওই ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয় ও ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি তিন দফায় লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ভেঙে গেছে অন্তত ১০টি কাঁচা বসতঘর। স্থানীয় মানুষের চোখে ঘুম নেই। চাষিরাও আমন ধানের চাষাবাদ আদৌ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।সরওয়ার কামাল, সদস্য, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ

বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি ইউনিয়নের ষাইটপাড়া এলাকায়। গত শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা বেড়িবাঁধের পাশে বসানো জিও টিউব সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। সাগরের পানি ঢেউয়ের সঙ্গে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ উপচে পাশের ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ছে। সেখানে স্থানীয় মাঝের ডেইল এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাদেরের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, বেড়িবাঁধের জিও টিউব বিলীন হওয়ার দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আমনচাষিরা চাষাবাদ করতে পারবেন কি না তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মানুষ তাঁদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করা উচিত।

মাতারবাড়ী ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুল হোছাইন মোহাম্মদ তৈয়ব প্রথম আলোকে বলেন, ভাঙা বেড়িবাঁধের কারণে ষাইটপাড়াসহ আশপাশের চারটি গ্রামে জলাবদ্ধতার শঙ্কা রয়েছে। এ কারণে এসব এলাকার অন্তত ৮০ একর জমিতে আমন চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সরওয়ার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্প্রতি তিন দফায় লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ভেঙে গেছে অন্তত ১০টি কাঁচা বসতঘর। স্থানীয় মানুষের চোখে ঘুম নেই। চাষিরাও আমন ধানের চাষাবাদ আদৌ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।’ ইউপি সদস্য সরওয়ার কামাল আরও বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই এলাকার মানুষের উদ্বেগ বাড়ে। অথচ ভাঙা বেড়িবাঁধ সংস্কারের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড।

মহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হেদায়েত উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি নিম্নচাপের প্রভাবে মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় অন্তত ১ হাজার ৬০০ মিটারের বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপাতত বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানি টেকানোর জন্য ভাঙা বেড়িবাঁধের ওপর জিও টিউব বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জামাল মুর্শিদ প্রথম আলোকে বলেন, মাতারবাড়ী ও ধলঘাট ইউনিয়নে স্থায়ী বাঁধের জন্য প্রায় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় চারপাশে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার সুপার ডাইকের আদলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ ও ৭টি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া খনন করা হবে সাড়ে ১৯ কিলোমিটার কুহেলিয়া নদী। গত এপ্রিলে প্রকল্প প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ