Samakal:
2025-08-01@08:53:27 GMT

শর্ত পূরণে ব্যর্থ অ্যাপল

Published: 12th, January 2025 GMT

শর্ত পূরণে ব্যর্থ অ্যাপল

চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে উন্মোচিত হতে পারে অ্যাপল ব্র্যান্ডের আইফোন সিরিজের ১৭ মডেলের স্মার্টফোন। ইতোমধ্যে নতুন আইফোনে সম্ভাব্য কী ফিচার থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা জমে উঠেছে। ডিজাইন, ব্যাটারি, বাটন, ডিসপ্লে ও স্ক্রিনে পাঁচটি অংশবিশেষ পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। উদ্ভাবনা নিয়ে অ্যাপল কোনো সময়ই নীরবতা ভঙ্গ করে না।
কিন্তু এবারে এশিয়ার দু-একটা দেশ সাফ জানিয়েছে, শর্ত না মানলে আইফোন-১৭ সিরিজের ফোন বিপণনে জারি হবে নিষেধাজ্ঞা। কী সেই 
শর্ত– এমন প্রশ্ন সামনে আসছে। আইফোন বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দেশটির নাম ইন্দোনেশিয়া। 
বলতে গেলে লোকাল ম্যানুফ্যাকচারিং রিকোয়ারমেন্ট নীতিমালা তৈরি করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি। কোনো নির্মাতা সংস্থা দেশটিতে স্মার্টফোন বিপণনে আগ্রহী হলে তাকে অন্তত ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ ওই দেশেই উৎপাদন করতে হবে। কিছুদিন আগে অ্যাপল দেশটিতে প্রায় শতকোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের কাছে বাতাম দ্বীপে এয়ারট্যাগ ট্রাকিং ডিভাইসের কারখানা তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে অ্যাপল। কিন্তু প্রস্তাবে সাফ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া।
আইফোনে নিষেধাজ্ঞার কারণ দর্শানোয় ইন্দোনেশিয়ার শিল্পমন্ত্রী অগস গুমিওয়াং কারটাসাস্মিতা বলেছেন, অ্যাপল 
যদি আইফোন-১৬ বিপণন করতে 
চায়, বিশেষ করে যদি আইফোন-১৭ ইন্দোনেশিয়ায় উন্মোচন করতে চায়, সেই সিদ্ধান্ত তাদের ওপরই নির্ভর করছে।
অ্যাপলকে উদ্দেশ করে দেশটির বিনিয়োগমন্ত্রী রোসান রোসেলানি বলেছেন, ২০২৬ সালে শুরুতে এয়ারট্যাগ ফেসিলিটিতে কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অ্যাপল। কিন্তু প্রস্তাবটি ফোনের ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ তৈরির শর্তকে নীতিগতভাবে সমর্থন করছে না।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

টানা বর্ষণে বেহাল বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক, খানাখন্দে ভোগান্তি

টানা বর্ষণে পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের প্রায় ৭১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের। মহাসড়কটির একাধিক বাঁকে খানাখন্দের কারণে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে।

মহাসড়কটিতে চলাচলকারী বাস মালিক সমিতি ও সওজের সূত্র জানা যায়, এই মহাসড়কে প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালুর পর পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে বর্তমানে সড়কটির বেহাল দশার কারণে প্রতিদিনই ভোগান্তি বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট রুটের একাধিক চালক ও যাত্রী বলেন, ভারী বর্ষণে সড়কের পিচ নরম হয়ে গাড়ির চাপে উঠে যাচ্ছে। ফলে নতুন নতুন গর্ত তৈরি হচ্ছে। পটুয়াখালীর কয়েকটি এলাকাসহ কুয়াকাটাগামী মানুষের যাতায়াতের প্রধান সড়কটির এমন বেহাল দশায় অতিষ্ঠ তাঁরা।

শ্যামলী এনআর পরিবহনের চালক কেরামত আলী বলেন, সড়কটিতে এত গর্ত যে স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদেরও দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। তুহিন পরিবহন নামে আরেকটি বাসের চালক কাওসার হাওলাদার বলেন, দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ না নিলে সড়কটি আরও বেহাল হয়ে পড়বে।

সম্প্রতি মহাসড়কটি ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতি ৫০ গজ পরপরই খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে আমতলী চৌরাস্তা, মানিকঝুড়ি, শাখারিয়া, সাহেববাড়ি, আমড়াগাছিয়া, পাটুখালী, বান্দ্রা ও পখিয়া এলাকায় এসব গর্তের পরিমাণ বেশি।
বরিশাল থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত ভালোয় ভালোয় এসেছেন জানিয়ে কুয়াকাটাগামী যাত্রী আল আমিন, পটুয়াখালীর পর আর যেন বাস চলছে না। কিছুক্ষণ পর পর ব্রেক কষতে হচ্ছে। সড়কের অবস্থা বেহাল হওয়ায় একদিকে ঝাঁকুনি, অন্যদিকে সময়ও লাগছে বেশি। আর ঝুঁকিও অনেক বেশি।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালে নির্মিত এই সড়কে পদ্মা সেতু চালুর পর যানবাহনের সংখ্যা বাড়ানো হলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। মহাসড়কের এই অংশ দেখভাল করে বরগুনা ও পটুয়াখালী দুই জেলার সওজ।

এ ব্যাপারে বরগুনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী কমারেশ বিশ্বাস বলেন, এবার দক্ষিণাঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সড়কের পিচ আলগা হয়ে যায় এবং যানবাহনের চাকায় তা সরে গিয়ে দ্রুত খানাখন্দ তৈরি হয়। প্রাথমিকভাবে ভ্রাম্যমাণ দল দিয়ে জরুরি সংস্কারের কাজ চলছে। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পেলে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সওজের পটুয়াখালী অঞ্চলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাসুদ করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ