ভ্যাটিকানের মানব উন্নয়ন মন্ত্রীর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন
Published: 3rd, November 2025 GMT
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সফররত ভ্যাটিকানের সমন্বিত মানব উন্নয়ন মন্ত্রী কার্ডিনাল ফেলিক্স মাইকেল চের্নি। আজ সোমবার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় রোহিঙ্গা ব্যক্তি, পথশিশু, আদিবাসী ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের জীবনযাপন, চ্যালেঞ্জ ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সরাসরি ধারণা নেন।
পরিদর্শনকালে ভ্যাটিকানের উন্নয়ন মন্ত্রী কারিতাস বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় কারিতাসের প্রটেকশন, ওয়াশ (পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন) এবং শেল্টার কার্যক্রমের অগ্রগতি, প্রভাব ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
কার্ডিনাল ফেলিক্স মাইকেল চের্নির সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন ভ্যাটিকানের সার্বিক মানব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের এশিয়া অঞ্চলের সমন্বয়ক ফ্রান্সেসকা ডোনা, বাংলাদেশে ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ কেভিন এস র্যান্ডেল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কারিতাস বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
ভ্যাটিকানের উন্নয়ন মন্ত্রী রোহিঙ্গা শিবিরের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পোপ চতুর্দশ লিওর সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। যাতে ভবিষ্যতে এসব মানবিক সমস্যা সমাধানে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া যায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’