সীতাকুণ্ডে এবার রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর অনুসারীদের
Published: 3rd, November 2025 GMT
বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন না দেওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের পর এবার রেলপথ অবরোধ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা–কর্মীরা। এতে সীতাকুণ্ড স্টেশনে আটকা পড়ে চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী চট্টলা এক্সপ্রেসসহ দুটি ট্রেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পুলিশের সীতাকুণ্ড ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) উপপরিদর্শক আশরাফ ছিদ্দিক। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, রেললাইনে অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভের খবর শুনে সীতাকুণ্ড স্টেশনমাস্টার চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড় করান। রাত ১০টার সময়ও চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সীতাকুণ্ড স্টেশনে দাঁড়িয়ে রাখা হয়েছিল। রেললাইন নিরাপদ হলে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
আরও পড়ুনসীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের১ ঘণ্টা আগেরেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো.
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে এবার বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। এ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন আসলাম চৌধুরী।
আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার খবরটি সন্ধ্যা সাতটার দিকে সীতাকুণ্ডে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তাঁর বিক্ষুব্ধ অনুসারীরা ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের অন্তত ৩০ স্থানে অবরোধ করেন। বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীরা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কে এমন অবস্থা ছিল। হঠাৎ মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তীব্র ভোগান্তি দেখা দেয়।
পরে রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক ও রেললাইন থেকে সরে যান বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আরও পড়ুনবিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, তীব্র যানজট১ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আসল ম চ ধ র ব এনপ র ট র নট অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’