সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
Published: 13th, January 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
চৌহালী উপজেলা বিএনপি সভাপতি জাহিদ মোল্লা বলেন, ‘‘অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নেটিশ দেওয়া হয়েছে।’’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা বলেন, ‘‘আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এ বিষয়ে পরে কথা বলব।’’
আরো পড়ুন:
চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণ: ৩ যুবক গ্রেপ্তার
কলাপাড়ায় শিশুকে ধর্ষণ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার এক স্কুলছাত্রকে ধর্ষণ করেন জুয়েল রানা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের পক্ষ হতে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা উপযুক্ত বিচার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে চৌহালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, ‘‘লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি। তবে, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/রাসেল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল, তাঁর স্ত্রী কাশমিরি কামাল এবং তাঁদের দুই মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। দুদকের পৃথক চারটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ এ আবেদনগুলো করেন। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
লোটাস কামালের আয়কর নথি তলবের আবেদনে বলা হয়, লোটাস কামালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামে ৩২টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন করার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।
কাশমিরি কামালের আবেদনে বলা হয়, মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকা অর্জন করেছেন। এই অবৈধ সম্পদ তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে উক্ত প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ২০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ২৯ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ২০৭ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।
কাশফি কামালের আয়কর নথি তলবের আবেদনে উল্লেখ করা হয় যে মুস্তফা কামাল তাঁর অবৈধভাবে অর্জিত ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকা বৈধ করতে নিজ কন্যা কাশফি কামালের নামে দেখিয়েছেন। এ ছাড়া কাশফি কামালের নামে খোলা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ৩৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৮৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন।
নাফিসা কামালের আবেদনে দাবি করা হয় যে মুস্তফা কামাল তাঁর অবৈধ ৬২ কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকা বৈধ করতে মেয়ে নাফিসা কামালের নামে স্থানান্তর করেছেন। এখানেও নাফিসা কামালের নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। তাঁর নামে মোট ১৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে, যা নিয়ে তদন্ত চলছে।