বিপিএলে সিলেট পর্বের শেষ দিনের খেলায় মাঠে নেমেছে চিটাগং কিংস এবং সিলেট স্ট্রাইকার্স। নয়নাভিরাম সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর দেড়টায় মাঠে নেমেছে দুই দল। টস জিতে সিলেট স্ট্রাইকার্স বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সিলেটের একাদশে দুইটি পরিবর্তন এসেছে। রাকিম কর্নওয়াল গ্রোয়েন ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন। পেসার রিচ টপলি নেই হ্যামস্ট্রিং চোটে। একাদশে এসেছেন পল স্টারলিং ও নিহাদুজ্জামান। চিটাগং কিংস একই একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে।

দুই দল এবারই প্রথম মুখোমুখি হয়েছে। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর সিলেট চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচে জয় পায়। আজ তাদের বিপিএলে ষষ্ঠ ম্যাচ। জয় দিয়ে ঘরের মাঠে লড়াই শেষ করতে মুখিয়ে তারা। অন্যদিকে চিটাগং তিন ম্যাচে দুটিতে জিতেছে, হেরেছে একটিতে। প্রথম ম্যাচে ঢাকায় হারের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে জয়ের দেখা পায় তারা। চট্টগ্রামে মাঠে নামার আগে সিলেটে শেষটা ভালো করতে মুখিয়ে তারাও।

আরো পড়ুন:

‘টাইগার যখন ঘুরে তাকায়, সব বরবাদ হয়ে যায়’

৩৪৬ রানের ইনিংস খেলে ইরার রেকর্ড

সিলেট স্ট্রাইকার্স একাদশ:
আরিফুল হক, জর্জ মুনসে, পল স্টারলিং, রনি তালুকদার, জাকির হাসান, জাকের আলী অনিক, নাহিদুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, অ্যারোন জোন্স ও নিহাদুজ্জামান।

চিটাগং কিংস একাদশ:
মোহাম্মদ মিঠুন, পারভেজ হোসেন ইমন, উসমান খান, হায়দার আলী, শামীম হোসেন, গ্রাহাম ক্লার্ক, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাবিল সামাদ, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও আলিস আল ইসলাম।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ